দক্ষিণ এশিয়ান গেমসের (এসএ গেমস) গত আসরে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি বাংলাদেশ। সাকুল্যে চারটি সোনা জিতেছিল লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। তবে আসন্ন নেপাল এসএ গেমসে এই অবস্থা থেকে বেরোতে চায় বাংলাদেশ। সে লক্ষ্যেই ১৩টি ডিসিপ্লিনে বিদেশি কোচের সমন্বয়ে ক্রীড়াবিদদের বিশেষায়িত ট্রেনিং করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশন (বিওএ)। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন কোচ ঢাকায় তাদের কাজ শুরু করেছেন। কিছু ডিসিপ্লিনে শিগগিরই বিদেশি কোচ আসছেন বলে জানিয়েছে বিওএ।
বাংলাদেশের অ্যাথলেটরা তাকিয়ে থাকেন এসএ গেমসের দিকে। এখানেই ভালো ফল করার প্রত্যয় নিয়ে অনুশীলন করেন তারা। ইতিমধ্যে নয় ডিসিপ্লিনে ১১ জন বিদেশি কোচ ও ফিজিও ঢাকায় অবস্থান করছেন।
এর মধ্যে শুটিংয়ের দক্ষিণ কোরিয়ান কিম ইল ইয়াং, একই দেশের তায়কোয়ান্দোর কোচ লি জু সাং, আরচারির জার্মান কোচ মার্টিন ফ্রেডরিক এবং ভলিবলের ইরানি কোচ আলী পোর আরজী আগে থেকেই দায়িত্বে রয়েছেন। কাবাডির ভারতীয় কোচ সাজু রাম ও ইরানিয়ান ফিজিও হাসান ইস্তেশার অনেক আগেই এসেছেন ঢাকায়। নতুন করে এদেশে এসে কাজে যোগ দিয়েছেন সাঁতারের জাপানি কোচ তাকিও ইনোকি, কারাতের জাপানি কোচ কিতামুরা তেতসুরা, ফেন্সিংয়ের ইরানি কোচ ওমিদ যামানী, কম্বোডিয়ার সেন সুকসিহা এবং বাস্কেটবলের ইতালিয়ান কোচ ফ্যাবিও ফোসাতি। বাস্কেটবল ছাড়া বাকি ডিসিপ্লিনের বিদেশি কোচ ও ফিজিও’র বেতন ভাতা দেয়ার জন্য বিওএ’র কাছে আবেদন করেছে সংশ্লিষ্ট ক্রীড়া ফেডারেশনগুলো। এসএ গেমসের আগে অ্যাথলেটিক্স, ভারোত্তোলন, গলফ ও উশুতে বিদেশি কোচ আনার চেষ্টা করছে বিওএ। যাদের খরচাও দেবে ক্রীড়াঙ্গণের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই সংস্থাটি। বিওএ’র মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ফখরুদ্দিন হায়দার গতকাল বলেন, এসএ গেমসের জন্য বিদেশি কোচদের খরচ বহন করার জন্য আমাদের কাছে আবেদন করেছে ক’টি ফেডারেশন। আমরাও সিদ্ধান্ত নিয়েছি বিদেশি কোচদের বেতন ভাতা দেয়ার। তবে তা আমাদের সাধ্যের মধ্যে হতে হবে। অ্যাথলেটিক্স, গলফ, ভারোত্তোলন ও উশুর কোচও আসবেন ঢাকায়। আমরা আশা করবো এসএ গেমস থেকে কাঙ্ক্ষিত পদক এনে দেবেন ক্রীড়াবিদ ও কর্মকর্তারা।