× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ভারতের ‘নীতি আয়োগে’ ড. ইউনূস /অর্থশাস্ত্রকে সামাজিক বিজ্ঞানে পরিণত করতে হলে পুনর্বিন্যাস জরুরি

শেষের পাতা

মানবজমিন ডেস্ক
১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯, বৃহস্পতিবার

নোবেল জয়ী প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, অর্থশাস্ত্রকে একটি সত্যিকার সামাজিক বিজ্ঞানে পরিণত হতে হলে এর পুনর্বিন্যাস খুব জরুরি। নয়াদিল্লিতে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউশন  ফর ট্রান্সফরমিং ইন্ডিয়া’র (নীতি আয়োগ) উপদেষ্টা, গবেষক ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।
নীতি আয়োগ-ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টা অমিতাভ কান্তর নেতৃত্বে সংস্থাটি ভারত সরকারের সর্বোচ্চ ‘থিংক ট্যাংক’ বা নীতি নির্ধারণী সংস্থা যা ভারত সরকার কর্তৃক টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যসমূহ অর্জনে দিক-নির্দেশনা ও নীতি নির্ধারণ উভয় ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

নীতি আয়োগ পরিদর্শনের সময় প্রফেসর ইউনূস ‘অটল ইনোভেশন মিশন’ (এআইএম) এর প্রধান নির্বাহী আর. রামাননের সাথে পৃথক বৈঠক করেন। ভারতে সামাজিক ব্যবসা প্রসারের লক্ষ্যে গঠিত ‘ইউনূস সোশ্যাল বিজনেস ইন্ডিয়া’র সাথে মি. রামানন ইতোমধ্যেই চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। এই চুক্তির অধীনে ইউনূস সোশ্যাল বিজনেস ইন্ডিয়া অটল ইনোভেশন মিশনকে তার বিভিন্ন সামাজিক ব্যবসা উদ্যোগ ডিজাইন করতে সহায়তা করবে। তাঁরা সংস্থাটির শাখা অটল টিংকারিং ল্যাবের একটি কর্মসূচি চালু করার বিষয়ে আলোচনা করেন যার লক্ষ্য ভারতীয় স্কুল সিস্টেমে ছাত্রদের মধ্যে সমস্যা সমাধানের মনোবৃত্তি সৃষ্টি করা।

প্রফেসর ইউনূস অটল ইনোভেশন মিশনের তরুণ পেশাদার কর্মসূচির সদস্যদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন ও তাদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।
রামানন এই সেশনে সভাপতিত্ব করেন। ইউনূস সোশ্যাল বিজনেস ইন্ডিয়া স্কুলগুলোতে টিংকারিং ল্যাবের কাঠামোর মধ্যে ছাত্রদের মধ্যে সামাজিক ফিকশন সৃষ্টির লক্ষ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করবে।
প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস ভারতে ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানগুলোর এসোসিয়েশন ‘সা-ধান’ এর ২০শ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন এবং সম্মেলন উদ্বোধন করেন। ভারতে সকল ধরনের ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠান যেমন ব্যাংক, এনজিও, সমবায় সমিতি সা-ধান এর সদস্য। ভারতের নেতৃস্থানীয় প্রায় সকল ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠান সহ এর সদস্য সংখ্যা বর্তমানে ২৫১।

প্রফেসর ইউনূস তার ভাষণে গত ২০ বছরে ক্ষুদ্রঋণ খাতের বিপুল প্রসার এবং ব্যাপক সংখ্যক দরিদ্র মানুষের কাছে মানসম্মত ক্ষুদ্রঋণ সেবা পৌঁছে দেবার জন্য সা-ধান -কে অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন যে, ক্ষুদ্রঋণ ভারতের গ্রামাঞ্চলে লক্ষ লক্ষ দরিদ্র নারীকে উদ্যোক্তায় পরিণত করেছে। এটা ভারতের গ্রামীণ অর্থনীতিকে শহরের অর্থনীতির জন্য শ্রম সরবরাহকারীর ভূমিকা থেকে বেরিয়ে এসে বরং শহরের অর্থনীতির সাথে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হবার মাধ্যমে গ্রাম থেকে শহরে তরুণদের অভিবাসনের গতি কমিয়ে এনেছে। তিনি ক্ষুদ্রঋণের সাথে যুক্ত নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদেরকে আর্থিক খাতের বাইরে অন্য খাতগুলো যেমন স্বাস্থ্যসেবা, পানীয় জল, আবাসন, কৃষি-প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প, খুচরা বিক্রয়, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, হস্তশিল্প, গ্রীন এনার্জি ইত্যাদি খাতে সামাজিক ব্যবসার মাধ্যমে তাদের উদ্যোগ প্রসারিত করতে আহ্বান জানান। তিনি বাংলাদেশে সামাজিক ব্যবসার মাধ্যমে এসব খাতের বিকাশের উদাহরণ তুলে ধরেন।
এছাড়াও দিল্লী সফরকালে প্রফেসর ইউনূসকে ফেসবুক ইন্ডিয়া কার্যালয়ে বক্তব্য রাখতে আমন্ত্রণ জানানো হয়। যেখানে তিনি প্রযুক্তির ভবিষ্যৎ বিষয়ে তার চিন্তা-ভাবনা এবং আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্সের উত্থান নিয়ে উদ্বেগ তুলে ধরেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর