সদ্য প্রয়াত ঝিনাইদহ বিআরটিএ’র সহকারী পরচিালক বিলাস চন্দ্র সরকারের বাসা থেকে উদ্ধার হয়েছে ঘুষের ৩৩ লাখ ২০ হাজার টাকা। বুধবার সন্ধ্যার দিকে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ শহরের কলাবাগান পাড়ার ভাড়া বাড়িতে অভিযান চালিয়ে এই টাকা উদ্ধার করেন। প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, বিলাস সরকারের মৃত্যুর পর ওই বাড়ি প্রশাসন সিলগালা করে দেয়। ধারণা করা হচ্ছে উপর মহলের দেয়া তথ্যমতে এই অভিযান চালানো হয়। সূত্র মতে বিলাস সরকার কলাবাগান পাড়ার ভাড়া বাড়িতে তার বৃদ্ধা মাকে নিয়ে থাকতেন। দাম্পত্য কলহের কারণে স্ত্রী সন্তানরা এখানে থাকতেন না। তিনিসহ তার পরিবারের অনেকেই ছিল মাদকাসক্ত। বাসায় তিনি নিয়মিত মদের আসর বসিয়ে নারী নিয়ে ফুর্তি মারতেন এমন গল্পও মানুষের মুখে চাউর হয়েছে।
এমনও শোনা যায় বিলাস সরকার অনেক নারীকে বাড়ি বানিয়ে দিয়েছেন ঝিনাইদহ শহরে। জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে অভিযানের কথা স্বীকার করে জানান, উদ্ধারকৃত ৩৩ লাখ ২০ হাজার টাকা জব্দ করে ট্রেজারিতে রাখা হয়েছে। জেলা প্রশাসক আরো জানান, বিলাস চন্দ্র সরকার ঝিনাইদহ শহরের কলাবাগান পাড়ার একটি ভাড়া বাসায় একা থাকতেন। স্ত্রী ও সন্তানরা থাকতেন ঢাকায়। পরিবারের সঙ্গে তার সুসম্পর্ক ছিল না। সরোজ কুমার বলেন, খবর পেয়ে ১২ই সেপ্টেম্বর ছেলে ও স্ত্রী ঝিনাইদহে আসেন। তাদের উপস্থিতিতে বাসার আলমারি খুলে ৩৩ লাখ ১৮ হাজার নগদ টাকা পাওয়া যায়। ‘ছেলেরা দাবি করেন তার বাবার ছয়টি ব্যাংকে ঋণ আছে। পরে ওই ব্যাংকগুলোতে যাচাই করে প্রশাসন নিশ্চিত হয় যে বিলাস সরকারের নামে কোনো ঋণ নেই।’ এরপর জেলা প্রশাসক খুলনা বিভাগীয় কমিশনার ও ঢাকায় বিষয়টি জানান উল্লেখ করে বলেন, ‘সবাই ধারণা করছেন এগুলো ঘুষের টাকা। তাই এ টাকা আটকে ট্রেজারিতে জমা রাখা হয়েছে।’ অভিযোগ উঠেছে উদ্ধারকৃত এই টাকা যানবাহনের রেজিস্ট্রেশন ও ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নামে ঘুষ হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছিল। উল্লেখ্য, গত ১০ই সেপ্টেম্বর ঝিনাইদহ বিআরটিএর সহকারী পরিচালক বিলাস সরকার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।