তিন রোহিঙ্গার অবৈধ পাসপোর্ট তৈরির ঘটনায় নোয়াখালীর দুই পুলিশ (ডিএসবি) সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। নোয়াখালী থেকে তিন রোহিঙ্গার পাসপোর্ট তৈরির ঘটনায় জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার (ডিএসবি) থেকে প্রত্যাহার করা দুই সদস্যের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি। জেলার বেগমগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান শেখের নেতৃত্বে গঠিত তদন্ত কমিটি গতকাল পুলিশ
সুপারের কাছে প্রতিবেদন জমা দেয়। তারা হলেন- সহকারী উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এএসআই) আবুল কালাম আজাদ ও নুরুল হুদা। নোয়াখালী পাসপোর্ট অফিস থেকে তিন রোহিঙ্গা তরুণের পাসপোর্ট নেয়ার বিষয়ে ডিএসবির এই দুই এএসআইয়ের বিরুদ্ধে দায়িত্ব পালনে অদক্ষতা, অবহেলা ও গাফিলতির প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। ওই পাসপোর্টগুলো করার সময় তাদের দেয়া তথ্য যাচাই করার দায়িত্বে ছিলেন এ দুই এএসআই। এ ব্যাপারে নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আলমগীর হোসেন মানবজমিনকে বলেন, তদন্ত কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। প্রতিবেদনের আগেই আবুল কালাম আজাদ ও নুরুল হুদাকে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছিল।
‘তদন্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হয়েছে, এতে তাদের বিরুদ্ধে কিছু সুস্পষ্ট অভিযোগ আছে। অভিযোগগুলোর বিষয়ে তাদের কাছে পুনরায় ব্যাখ্যা তলব করা হয়েছে। তাদের ৭ দিন সময় দেয়া হয়েছে।’ এসপি বলেন, অভিযোগের বিষয়ে তাদের জবাব পাওয়ার পরই তা বিশ্লেষণপূর্বক পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে। ব্যাখ্যা সন্তোষজনক না হলে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হবে। এর আগে এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার এএসআই আবুল কালাম আজাদ ও নুরুল হুদাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়। গত শনিবার তাদের কাছ থেকে পাওয়া জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় তাদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে জেলা পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়। ওইদিন এ বিষয়ে বেগমগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান শেখের নেতৃত্বে গঠিত তদন্ত কমিটিকে ৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছিল।
গত ৬ই সেপ্টেম্বর বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী তিন রোহিঙ্গা তরুণকে চট্টগ্রামের আকবর শাহ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারা দালালের মাধ্যমে নোয়াখালী আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে থেকে পাসপোর্ট করিয়েছে বলে পুলিশকে তথ্য দেয়।