× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সোনাইমুড়ীতে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, ওসিসহ আহত ২৫

বাংলারজমিন

বেগমগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯, শুক্রবার

এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব বিরোধের জেরে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ককটেল, বোমা বিস্ফোরণ, গুলি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার রাত ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত দফায় দফায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে এক পথচারী গুলিবিদ্ধসহ সোনাইমুড়ী থানার ওসি আবদুস সামাদ ও জেলা যুবলীগ নেতা সোনাইমুড়ী পৌরসভার মেয়রপ্রার্থী আবু সায়েম সহ কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে যুবলীগ নেতা আবু সায়েমের অবস্থা গুরুতর। তাকে উদ্ধার করে সোনাইমুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৪৬ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করেছে। ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে পুলিশ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বর্তমানে সোনাইমুড়ী পৌরসদরে  দু’পক্ষের মধ্যে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে।
নোয়াখালী-১ আসনের (চাটখিল-সোনাইমুড়ী) সংসদ সদস্য এইচ এম ইব্রাহিম ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত সহকারী জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর আলমের অনুসারীদের মাঝে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নোয়াখালী-১ আসনের (চাটখিল-সোনাইমুড়ী উপজেলা) আওয়ামী লীগের রাজনীতি দু’ভাগে বিভক্ত। এক পক্ষের নেতৃত্বে রয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য এইচ এম ইব্রাহিম অপর পক্ষের নেতৃত্বে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী মো. জাহাঙ্গীর আলম। সম্প্রতি জাহাঙ্গীর আলম জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় তাকে চাটখিল ও সোনাইমুড়ীতে বিশাল এক গণসংবর্ধনা দেয়া হয়। গত রোববার সোনাইমুড়ী উপজেলা পরিষদ মাঠে সোনাইমুড়ী আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে তাকে গণসংবর্ধনা দেয়া হয়। ওই সংবর্ধনাকে কেন্দ্র করে গত শনিবার থেকে সোনাইমুড়ীতে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের দু’গ্রুপের লোকজনের মধ্যে টান টান উত্তেজনা ছিল। আহত আবু সায়েম জানান, ওই ঘটনার জের ধরে রোববার রাতে জুয়েল, রিয়াজ, রেদওয়ান, সোহেল, সেফু ভূঁইয়া, কালা হুক্কা, মোস্তাফিজ, রুবেল, শান্ত সহ ২০-২৫ জন সোনাইমুড়ী পৌর ছাত্রলীগ নেতা রায়হানের ভানুয়াই মহল্লার বাড়িতে গিয়ে তাকে মারধর করে আসে। হামলাকারীরা মঙ্গলবার রাতে উপজেলা ছাত্রলীগ কার্যালয়ে হামলা করে বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রী ও জাহাঙ্গীর আলমের ছবি ও উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় ভাঙচুর করে। এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিলে তা নিরসনের জন্য সোনাইমুড়ী থানার ওসি আবদুস সামাদ দু’পক্ষের নেতাদের নিয়ে বুধবার সন্ধ্যার পর থানায় একটি সালিশের মাধ্যমে সমঝোতা সভায় বসেন। সোনাইমুড়ী থানার ওসি আবদুস সামাদ মানবজমিনকে বলেন, সমঝোতা সভা চলাকালীন রাত ৮টার সময় সোনাইমুড়ী বাজারে এমপি ও জাহাঙ্গীর আলমের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এ খবর পেয়ে ওসি পুলিশ নিয়ে সংঘর্ষস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। এ সময় জাহাঙ্গীর আলমের অনুসারী ও সোনাইমুড়ী পৌরসভার মেয়রপ্রার্থী যুবলীগ নেতা আবু সায়েম এবং  উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা শ্যামল উদ্দিন সংঘর্ষস্থলে যাওয়ার পথে বাইপাস এলাকায় তাদের ওপর এমপি’র অনুসারীরা হামলা চালায়। এ সময় হামলাকারীরা লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে সায়েম ও শ্যামল উদ্দিনকে রক্তাক্ত ও আহত করে। তাদেরকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে সোনাইমুড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সায়েমের মাথায় ৮টি সেলাই দেয়া হয়। এদিকে সায়েমের ওপর হামলার খবর শুনে তার অনুসারীরা দলবদ্ধ হয়ে এমপি’র অনুসারীদের সঙ্গে পুনরায় সংঘর্ষে জড়ায়। সংঘর্ষকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ ৪৬ রাউন্ড ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে। এ সময় বিপ্লব নামের এক পথচারী গুলিবিদ্ধ হন। সংঘর্ষে ওসি আবদুস সামাদ, এস আই নাজমুল ও পুলিশ সদস্য জসিমসহ ২৫ জন আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দীপক জ্যোতি খীসার নেতৃত্বে রাতে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর