দুর্দান্ত অভিষেকের পরই বড় এক দুঃসংবাদ পান আমিনুল ইসলাম। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচে হ্যামিল্টন মাসাকাদজার শট ঠেকাতে হাতে পেয়েছেন গুরুতর চোট। বাঁ হাতের গুরুতর চোটে শঙ্কা জাগে আফগানিস্তান ম্যাচ নিয়ে। বাঁ হাতে তিনটা সেলাই পড়েছে এই লেগ স্পিনারের। হাতে এখনো ব্যান্ডেজ। আমিনুল ইসলাম ব্যান্ডেজে মোড়ানো এ হাত নিয়েই গতকাল জহুর আহমেদ স্টেডিয়ামে অনুশীলনে বোলিং করে গেলেন। আমিনুল যে ফিট নন, না বললেও চলছে। আজ আফগানিস্তানের বিপক্ষে তার খেলার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
ফাইনাল খেলা নিয়েও আছে সংশয়। তবুও আমিনুলের আশা ছাড়ছে না বাংলাদেশ। ফাইনালের আগে পাওয়া চার দিনের বিরতিতে তিনি কতটা সেরে ওঠেন, সেটাই প্রশ্ন।
আমিনুলের হাতের সেলাই কাটতে লেগে যেতে পারে এক সপ্তাহ কিংবা তারও বেশি সময়। তবে কাল বিসিবির চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী বলছিলেন, ‘হাতের সেলাই নিয়েও খেলতে পারেন একজন খেলোয়াড়। কিন্তু চোটের অবস্থা আগে বুঝতে হবে।’ চোটের অবস্থা বুঝতে যে সময়টা লাগে, সেটিই নেই বাংলাদেশের। তবে ব্যথা খানিকটা কমেছে বলেই গতকাল ব্যান্ডেজ জড়ানো হাত নিয়ে বোলিং করেছেন আমিনুল। ফলো থ্রুতে তিনি বল ধরছেন শুধুই ডান হাতে (যে হাতে বোলিং করেন)। যখন বাঁ দিকে বল আসছে, সেটি ধরতে বেশ কষ্টই হচ্ছে আমিনুলের। বল ধরতে হচ্ছে সেলাই পড়া হাতটা বাঁচিয়ে। কাজটা অবশ্যই ঝুঁকিপূর্ণ। আমিনুল একটা চেষ্টা চালাচ্ছেন যদি এ ক’দিনে ব্যথা কমে যায়, ফাইনালে একটা ঝুঁকি নিতে হবে। আর ফাইনাল খেলতে হলে ভালো প্রস্তুতি নিশ্চয়ই নিয়ে রাখতে হয়।
তবুও সংশয় দূর হচ্ছে না। ব্যথা কমল, সেলাই নিয়েই খেলতে নামলেন। ফিল্ডিং না হয় করলেন না। কিন্তু দেখা গেল ব্যাটসম্যান রিটার্ন ক্যাচ দিয়েছেন বা জোরে শট খেলেছেন তার চোট পাওয়া হাতের দিকেই, তখন আমিনুল কী করবেন? ঝুঁকি, সংশয় যাই থাকুক আমিনুল আপাতত মানসিকভাবে শক্ত থাকছেন, ফিজিও-চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে প্রস্তুতি নিয়ে রাখছেন।