× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

রাণীনগরে দলিল লেখকের শাস্তি দাবি

বাংলারজমিন

নওগাঁ প্রতিনিধি
২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯, রবিবার

মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে ভুয়া ব্যক্তিকে দাতা সাজিয়ে হেবা দলিল সম্পাদন ও রেজিস্ট্র্রি করার দায়ে নওগাঁর রাণীনগর সাব- রেজিঃ অফিসের দলিল লেখক ও রানীনগর দলিল লেখক সমিতির সদস্য সাইদুল ইসলামের লাইসেন্স বাতিলসহ তার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করেছেন রাণীনগর দলিল লেখক সমিতির নেতৃবৃন্দ। প্রায় দেড় মাসেও ওই দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত দলিল লেখক সাইদুল ইসলামের তদন্ত রিপোর্ট না দেয়ায় রাণীনগর সাব-রেজিস্টারকে প্রভাবিত করে সাইদুল ইসলাম তদন্ত তার পক্ষে নেয়ার পাঁয়তারা করছেন বলে ও অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে তথ্যানুসন্ধানে জানাগেছে, রাণীনগর উপজেলার বিলপালশা গ্রামের আহম্মদ আলীর ছেলে ও রাণীনগর সাব- রেজিঃ অফিসের দলিল লেখক সাইদুল ইসলাম গত বছর ২০১৮ সালের ২৩ এপ্রিল মূল দাতা রাণীনগর উপজেলার দক্ষিণ রাজাপুর গ্রামের অজিম উদ্দিনের ছেলে মমতাজ উদ্দিনের স্থলে একই উপজেলার করজগ্রাম গ্রামের জনৈক আনিছুর রহমানকে মমতাজ সাজিয়ে একটি হেবা ঘোষণাপত্র দলিল সম্পাদন ও রেজিস্ট্রি করেন। এই দলিল  নং ১৬৩৫এবং দক্ষিণ রাজাপুর গ্রামের মমতাজ উদ্দিনের ছেলে আক্তারুজ্জামান সাগর ও তার ছেলে রাফিউজ্জামান ইয়ামিন বরাবর প্রায় ১৯ বিঘা সম্পত্তি রেজি: করা হয়। এই ভুয়া দলিলের বিষয়টি জানতে পেরে ওই সম্পত্তির প্রকৃত মালিক ঘটনার ২০ পর শোকে দুঃখে মৃত্যুবরণ করেন।
এ বিষয়ে রাণীনগর দলিল লেখক সমিতিতে গত বছর ২০১৮ সালের ২৪শে এপ্রিল জনৈক শরিফুল ইসলাম এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করলে দলিল লেখক সাইদুল ইসলাম ওই রাণীনগর দলিল লেখক সমিতির কাছে অপরাধ স্বীকার করে এবং এই অপরাধের কারণে দলিল লেখক সমিতি যে শাস্তি দেবে তা নেবে মর্মে ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে লিখিতভাবে অঙ্গীকার করেন। এর পর থেকে সাইদুল ইসলামের দলিল লেখা বন্ধ রয়েছে।
সাইদুল ইসলামের এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রায় দেড় মাস আগে রাণীনগর দলিল লেখক সমিতি জেলা রেজিস্ট্রার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন।
জেলা রেজিস্ট্রার বিষয়টি দ্রুত তদন্ত করে রিপোর্ট দাখিলের জন্য  রাণীনগর সাব রেজিস্ট্রারকে নির্দেশ দেন। কিন্তু দেড় মাসেও তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করা হয়নি বলে জানান দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ।
হারুন বলেন, কেন জানিনা দেড় মাসেও  এ বিষয়ে তদন্ত রিপোর্ট দেয়া হয়নি। শুধু দলিল লেখকরা নয় এলাকাবাসী ও চান না সাইদুল ইসলামের মতো অসৎ, দুর্নীতিবাজ দলিল লেখক সাব রেজিঃ থেকে কাজ করুক। এতে আমরাও দুর্নামের শিকার হচ্ছি।
অভিযুক্ত দলিল লেখক সাইদুল ইসলাম বলেন, অপরাধ স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছি। এখন কতৃপর্ক্ষ যে ব্যবস্থা নেবেন তা মেনে নিতে হবে। কারণ ভুল তো মানুষেরই হয়ে থাকে। এই প্রসঙ্গে রাণীনগর সাবরেজিস্ট্রর  রাশিদা ইয়াসমিন মিলি  প্রথমে কিছু বলতে না চাইলে ও পরে বলেন, ন্যায়বিচারের লক্ষ্যে এ বিষয়ে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত করে রিপোর্ট দাখিল করা হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর