পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটি শহরেও লেগেছে ক্যাসিনো অভিযানের ছোঁয়া। শুক্রবার দিবাগত রাতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে ডিবি পুলিশের তিনটি টিম শহরের নাম করা জুয়ার আসর বসানো ক্লাবগুলোতে হানা দেয়। এ অভিযানে শহরের ট্রাইবেল আদাম এলাকার ব্রাদার্স স্পোর্টিং ক্লাব থেকে ক্ষমতাসীন দলের প্রথমসারির এক নেতা ও একজন কাস্টমস ইন্সপেক্টরসহ ১১ জন ও রিজার্ভ বাজারের রাইজিং স্টার ক্লাব থেকে একজনসহ মোট ১২ জনকে ১০০ টাকা করে মোট ১২০০ টাকা জরিমানা করা হয়। এদিকে অভিযানের সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ক্লাবগুলোতে অবৈধ কার্যকলাপরতদের অনেকেই দৌড়ে, কেউ কাপ্তাই লেকে ঝাঁপ দিয়ে পালিয়ে যায়। এসময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের মাধ্যমে জুয়া ও মদ্যপানরত অবস্থায় আটক ১২ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দেয়া হয় এবং বিভিন্ন প্রকার দেশি ও বিদেশি মদ, জুয়া খেলার সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। অভিযানে ব্রাদার্স ক্লাবে অর্থদণ্ডে দণ্ডিতরা হলেন: সুদত্ত চাকমা, রাখাল দাশ, সেকান্দর আলী, চন্দন দে, জমির উদ্দিন, মনিময় দেওয়ান, রাজেশ চাকমা, পূরনজয় চাকমা, সূর্যদেব চাকমা, জুনু চাকমা, পিংকু চাকমা। দণ্ডিতদের মধ্যে ছুটিতে রাঙ্গামাটিতে এসে জুয়ার আসরে বসা এক কাস্টমস ইন্সপেক্টর জুনু চাকমা ও রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জমির উদ্দিনের নামও ছিল। অন্যদিকে রাইজিং স্টার ক্লাবে অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা হয় প্রভাকর বড়ুয়া নামের একজনকে।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পল্লব হোম দাশ জানান, জুয়া ও মাদকের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে, সামাজিক শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে এই ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখা হবে। প্রকাশ্যে বঙ্গীয় জুয়া আইন ১৮৬৭ -এর ৪ ধারায় এদের জরিমানা করা হয়। রাঙ্গামাটির জেলা প্রশাসক এ কে এম মামুনুর রশিদ এবং পুলিশ সুপার মো. আলমগীর কবীরের নির্দেশনা ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. ছুফি উল্লাহর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পল্লব হোম দাশ, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সিরাজুল ইসলাম, নির্বাহী
ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুল ইসলাম ও রাঙ্গামাটি ডিবি পুলিশের ইন্সপেক্টর হুমায়ুন কবিরের নেতৃত্বে একযোগে সব ক্লাবে এই সাঁড়াশি অভিযান পরিচালিত হয়।