× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দীর্ঘ যানজট /সওজের জায়গায় এমপি খোকার অবৈধ মার্কেট

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) থেকে
২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯, রবিবার

সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) প্রায় ২ বিঘা জায়গা দখল করে মার্কেট ও অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে নারায়ণগঞ্জের জাতীয় পার্টির দলীয় এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা ও তার ভাতিজাদের বিরুদ্ধে। সরজমিন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার সবচেয়ে ব্যস্ততম এলাকা মোগরাপাড়া চৌরাস্তায় গিয়ে দেখা যায়, এমপি খোকা তার বাবার নামে নির্মাণ করা সুপার মার্কেট আইয়ুব প্লাজা একটি অংশ ও মহাসড়কের পাশের বিশাল জায়গা দখল করে এমপির ভাই মনির হোসেনের ইত্যাদি নামের একটি রেস্টুরেন্টের সিঁড়ি এবং কাঁচাবাজার ও ফলের আড়ৎ নির্মাণ করে প্রতিমাসে প্রায় দেড় কোটি টাকা চাঁদাবাজি করছেন। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন, টানা দুবার এমপি থাকায় নেতার ভাই মাদক ব্যবসায়ী মনির হোসেন, এমপির ভাতিজা সন্ত্রাসী জাবেদ, শামীম ও হিরু মিয়া সওজের জায়গা দখল করে বিভিন্ন হকার ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে প্রতিদিন মোটা অঙ্কের চাঁদা আদায় করছেন। গত কয়েক মাস আগে এমপি খোকা ও তার ভাতিজাদের দখলকরা জায়গা উচ্ছেদ করতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের বাধার মুখে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা না করেই ফিরে আসতে বাধ্য হয় উচ্ছেদ অভিযানকারী দলের সদস্যরা। নোয়াব মিয়া নামের এক ব্যবসায়ী জানান, এমপি ও তার ভাই, ভাতিজাদের দখলবাজির কারণে দেশের সবচেয়ে ব্যস্ততম মহাসড়কে প্রতিদিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসন ও সওজ কর্তৃপক্ষ এমপি ও তার ভাই, ভাতিজাদের ভয়ে মহাসড়কের দুই পাশ ও সওজের প্রায় ১০ কোটি টাকার সম্পত্তি উদ্ধার করতে পারছে না। এছাড়া সড়কের জায়গায় অবৈধভাবে সিএনজি স্টেশন করে প্রতিটি যানবাহন থেকে প্রতিদিন কয়েক লাখ টাকার চাঁদাবাজি করছে এমপি খোকার অনুগত ক্যাডার ও তার ছোট ভাই মনির হোসেন। নাম প্রকাশনা করার শর্তে সওজের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক পরিদর্শনে এসে একাধিকবার সওজের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন যাতে মহাসড়কে যানবাহন চলাচল নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারে।
সেজন্য মোগরা পাড়া চৌরাস্তার অবৈধ স্থাপনা ও এমপি খোকার দখলে থাকা মার্কেট উচ্ছেদ করতে। কিন্তু এমপির ক্ষমতার দাপটের কারণে স্থানীয় প্রশাসন সওজের এ জায়গা কোনোভাবেই উচ্ছেদ করতে পারছে না। বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ প্রয়োজন বলে ওই কর্মকর্তা মন্তব্য করেন। সোনারগাঁয়ের একাধিক আওয়ামী লীগ নেতা জানান, নারায়ণগঞ্জের একজন প্রভাবশালী এমপির নাম ভাঙিয়ে জাতীয় পার্টির এ সাংসদ এলাকার পরিবহন, মাদকসহ বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজি করছেন। ইতিমধ্যে এ এমপির চাঁদাবাজি ও তার দখলবাজির বিরুদ্ধে সরকারের একটি গোয়েন্দা সংস্থা সরকারের কাছে প্রতিবেদন দিয়েছেন। এ ব্যাপারে এমপি খোকার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমি কোনো চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত নই। নাম ভাঙিয়ে আমার আত্মীয়-স্বজনরা যদি সরকারি জায়গা দখল করে থাকে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর