× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

যুবলীগ চেয়ারম্যান সাধারণ সম্পাদকের পদত্যাগ দাবি

দেশ বিদেশ

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার
২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯, রবিবার

যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী এবং সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদের পদত্যাগ দাবি করেছে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। গতকাল দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতিতে এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এ দাবি জানানো হয়। পদত্যাগ না করলে এ নেতাদের সংগঠন থেকে সরিয়ে দিতে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেয়ারও হুঁশিয়ারি দেয় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। এ সময় গণমাধ্যমে যুবলীগ চেয়ারম্যানের দেয়া বক্তব্যকে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আখ্যা দিয়ে এ ধরনের বক্তব্য রাষ্ট্রের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলার জন্য হুমকিস্বরূপ বলেও উল্লেখ করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের আহ্বায়ক অধ্যাপক আ ক ম জামাল উদ্দিন। উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল, সাধারণ সম্পাদক মো. আল মামুন। অধ্যাপক জামাল বলেন, রাজধানীতে অবৈধ ক্যাসিনো চালানোর অভিযোগে যুবলীগের শীর্ষনেতাদের গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। অন্যায় কাজে জড়িত নিজ সংগঠনের নেতাদের দায় এড়াতে পারে না চেয়ারম্যান-সম্পাদক।
তাই তাদের পদত্যাগ দাবি করেছে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। তিনি বলেন, সংগঠনের দায়িত্বশীল জায়গায় থেকে তারা দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে ব্যর্থ হয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ মনে করে, যুবলীগের শীর্ষ পদে থাকার নৈতিক যোগ্যতা হারিয়েছেন ওমর ফারুক চৌধুরী ও হারুনুর রশীদ। তাই আপনারা দ্রুত পদত্যাগ করে যুবলীগের ভাবমূর্তি রক্ষা করুন। জামাল উদ্দিন আরো বলেন, যুবলীগ চেয়ারম্যান তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেননি। বিএনপি থেকে আসা নেতা জিকে শামীম, খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে যুবলীগে জায়গা দিয়েছেন, বড় পদে বসিয়েছেন। সুসময়ে জিকে শামীম-খালেদ ভূঁইয়াদের সঙ্গে নিয়ে চললেন, কিন্তু গ্রেপ্তারের পর আর তাদের চিনতে পারেন না। যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী এবং সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ বিতর্কিত নেতাদের এসব অপকর্মের দায়ভার কোনোভাবেই এড়াতে পারেন না। ব্যর্থতার দায়ভার নিয়ে অবিলম্বে যুবলীগের দায়িত্ব থেকে তাদের পদত্যাগ করতে হবে। অধ্যাপক জামাল আরো বলেন, কারও ব্যক্তিগত অপকর্ম-অনিয়ম-দুর্নীতির দায়ভার দেশরত্ন শেখ হাসিনা নেবেন না। যুবলীগে অনুপ্রবেশকারী হাইব্রিড নেতারা দলের নাম ভাঙিয়ে অবৈধভাবে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। শেখ হাসিনার সব উন্নয়নমূলক কাজগুলোকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন। দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছেন। তিনি বলেন, নিয়মিত নেতৃৃত্বের পরিবর্তন না হওয়ার কারণে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে যুবলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা অপকর্ম করে বেড়াচ্ছেন। তিনি আরো বলেন, এসব অপরাধীদের আশ্রয়দাতা কারা? তাদের দলে কে জায়গা দিয়েছে? তারা কখনোই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার চর্চা করেন না। তারা টাকা দিয়ে পদ নিয়ে নানান অপকর্ম করে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে। সংবাদ সম্মেলন থেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এবং গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির পদত্যাগও দাবি করা হয়। অধ্যাপক জামাল বলেন, এই দু’টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে অরাজকতার হাত থেকে বাঁচাতে এ দুই কুলাঙ্গার ভিসির পদত্যাগ করতে হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর