নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য ছায়েদ আলী পরিবারের জন্য ১১ সিএফটির গত মাসে একটি ওয়ালটন রেফ্রিজারেটর কেনেন। ফ্রিজ কিনেই পেয়ে যান ১০ লাখ টাকা। এলাকার সবার কাছে এখন তার নতুন পরিচিতি ‘মিলিয়নিয়ার ছায়েদ’। অপ্রত্যাশিত এ সৌভাগ্যে তার পরিবারেও বইছে খুশির বন্যা। চলমান ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-ফোরের আওতায় যেকোনো মডেলের ওয়ালটন রেফ্রিজারেটর বা ফ্রিজার কিনে রেজিস্ট্রেশন করলেই ক্রেতারা প্রতিদিনই পেতে পারেন ১০ লাখ টাকা। এর ধারাবাহিকতায় স্থানীয় চাঁচকৈর বাজারের ওয়ালটন প্লাজা থেকে ফ্রিজটি কেনেন ছায়েদ আলী। এরপর ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের আওতায় ফ্রিজটি রেজিস্ট্রেশন করেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই তার মোবাইল ফোনে ১০ লাখ টাকা পাওয়ার মেসেজ যায়। ১৫ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে ছায়েদ আলীর হাতে ১০ লাখ টাকা হস্তান্তর করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন গুরুদাসপুর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন, গুরুদাসপুর থানার ওসি মোজাহারুল ইসলাম, ওয়ালটনের এরিয়া ম্যানেজার আক্তার হাবিব খান শূর এবং ওয়ালটন প্লাজার ম্যানেজার কুমার অভিজিৎ গৌর। ছায়েদ আলী বলেন, যখন ১০ লাখ টাকা পাওয়ার মেসেজ পেলাম, তখন প্রথমে বিশ্বাস হয়নি। পরে প্লাজার কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ করে নিশ্চিত হই। তিনি জানান, ইউপি সদস্য হলেও কৃষিকাজ করে সংসার চালান তিনি। তিন বছর আগে নির্বাচনের সময় লোন নিয়েছিলেন। এই টাকা দিয়ে ওই লোন পরিশোধ করবেন। বাকি টাকায় জমি লিজ নিয়ে চাষাবাদ করবেন।