× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

চিরিরবন্দরে গৃহবধূর শ্লীলতাহানি

বাংলারজমিন

চিরিরবন্দর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯, সোমবার

 দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে ইউপি চেয়ারম্যান কর্তৃক গৃহবধূর শ্লীলতাহানির ঘটনায় কোর্টে মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশি তদন্ত চলছে। দীর্ঘদিন হলেও মামলার কার্যক্রম থেমে থাকায় ও আসামিদের অব্যাহত হুমকির ফলে বাদী চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। মামলা সূত্রে জানা গেছে, চিরিরবন্দর উপজেলার সাতনালা ইউনিয়নের খামার সাতনালা গ্রামের জাহিদুল ইসলামের স্ত্রী ১ সন্তানের জননী লুৎফা বেগম (৩০) কে ওই ইউনিয়নের মৃত ফেরাজউদ্দিনের ছেলে ইউপি চেয়ারম্যান একেএম ফজলুর রহমান দুলাল (৫০) দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন প্রকার কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। চেয়ারম্যানের দেয়া কু-প্রস্তাবের কারণে লুৎফা বেগম দীর্ঘ ১ বছর ধরে বাড়ির বাইরে চলাফেরা করতে পারছিলেন না। লুৎফা বেগম চেয়ারম্যানের দেয়া কু-প্রস্তাবের কথা তার স্বামী জাহিদুল ইসলামকে জানায়। জাহিদুল ইসলাম তার স্ত্রীকে দেয়া চেয়ারম্যানকে কু-প্রস্তাবের কথা বলেন এবং আর যাতে এমন ঘটনা না ঘটে তার জন্য নিষেধ করেন। এর একপর্যায়ে গত ৭ই আগস্ট বুধবার রাত ৮টায় লুৎফা বেগমের স্বামী স্থানীয় বাজারে থাকার সুযোগে ফজলুর রহমান তাদের বাড়িতে প্রবেশ করে লুৎফা বেগমকে একাকী পেয়ে বিভিন্ন প্রকার অশালীন কথাবার্তা ও অঙ্গভঙ্গি করতে থাকে।
এক পর্যায়ে ফজলুর রহমান লুৎফা বেগমের হাত ধরে শয়ন কক্ষে নিয়ে গিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে যৌন নিপীড়ন করে। ফজলুর রহমান তার যৌন কামনা পূরণের চেষ্টা করতে থাকলে লুৎফা বেগম চিৎকার করলে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসে। এ সময় বাড়ির বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা ফজলুর রহমানের সহযোগী মোকলেছুর রহমান (৪৮) ঘটনাস্থলে এসে লুৎফা বেগমের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় চড়-থাপ্পড় ও কিল-ঘুষি মারে। এ সময় তারা লুৎফা বেগমকে ঘটনা কাউকে জানালে বা কোথাও কোনো অভিযোগ করলে জীবননাশ এবং লাশ গুম করার হুমকি প্রদর্শন করে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এ ঘটনায় লুৎফা বেগম চিরিরবন্দর থানায় মামলা করতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ মামলা না নিয়ে কোর্টে মামলা করার পরামর্শ প্রদান করেন। গত ২৯শে আগস্ট লুৎফা বেগম বাদী হয়ে দিনাজপুরে আদালতে একটি মামলা করেন। চিরিরবন্দর থানার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই মো. আতিকুজ্জামান বলেন, মামলা তদন্তাধীন রয়েছে। দ্রুত প্রতিবেদন পাঠানো হবে। এ ব্যাপারে ওই ইউপি চেয়ারম্যানের মুঠোফোনে কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর