× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

হতাশায় চাষিরা চিতলমারীতে চিংড়ি ঘেরে মড়ক

বাংলারজমিন

চিতলমারী (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯, সোমবার

বাগেরহাটের চিতলমারীতে আবহাওয়া জনিত কারণে চিংড়ি ঘেরে মহামারি আকারে মড়ক দেখা দিয়েছে। এতে কয়েক হাজার চিংড়ি চাষির মধ্যে চরম হতাশা বিরাজ করছে। এ সুযোগে কতিপয় অসাধু মেডিসিন দোকানিরা চিংড়ি ঘেরের পানি শোধন ও মড়ক ঠেকানোর নামে লাখ লাখ টাকা চাষিদের থেকে লুফে নিচ্ছে।
ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সাদা সোনা খ্যাত চিংড়ি চাষের ওপর নির্ভরশীল এলাকার অধিকাংশ চাষিরা। উপজেলার আবাদি-অনাবাদি জমিতে ব্যাপকভাবে চিংড়ি চাষের মাধ্যমে এসব চাষিরা ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখলেও এখন সেটি ভেস্তে যেতে বসেছে। আবহাওয়া জনিত কারণে গত কয়েক দিনে হাজার-হাজার চিংড়ি ঘেরে মহামারি আকারে মড়ক ছড়িয়ে পড়েছে। এতে অসংখ্য চাষিরা এখন চরম হতাশায় ভুগছেন। ঘেরের মড়ক ঠেকাতে অনেকে মেডিসিনের দোকানে গিয়ে ভিড় জমাচ্ছেন।
এ ছাড়া ফকির ও দরবেশের কাছ থেকে পানি পড়া ও লাল নিশান টাঙিয়ে মড়ক প্রতিরোধ করার চেষ্টা করছে।
এ বিষয়ে শ্রীরামপুরের ক্ষতিগ্রস্ত চিংড়ি চাষি কৃষ্ণপদ বালা, অনুপ বালা, দয়াল বালা, তুহিন বিশ্বাস, পাড়ডুমুরিয়া গ্রামের দেবদাস ভক্ত, উত্তম বাড়ৈ ও ডুমুরিয়া গ্রামের সবুজ বাড়ৈ, কিসমত শেখসহ অনেক চাষি হতাশা প্রকাশ করে জানান, হঠাৎ করে ঘেরে মড়ক দেখা দেয়ায় সেটি কোনো ভাবেই ফেরানো সম্ভব হচ্ছে না। বাজার থেকে বিভিন্ন মেডিসিন ব্যবহার করেও কোনো কাজে আসছে না। এ পরিস্থিতিতে ঋণগ্রস্ত এসব চাষিরা দিশাহারা হয়ে পড়েছেন। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সোহেল মো. জিল্লুর রহমান রিগান জানান, এ বছর উপজেলায় মোট ৬ হাজার ৮শ’ হেক্টর ঘেরের জমিতে চিংড়ি চাষ করা হয়েছে। আবহাওয়া জনিত কারণে চিংড়ি ঘেরে অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এর জন্য সেচ মেশিন দিয়ে পানি ওলট-পালট করে দেয়াসহ মেডিসিন প্রয়োগের মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করা সম্ভব।





 
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর