আফগানিস্তানের ড্রেসিং রুমে অস্বস্তি। দলীয় অধিনায়ক রশিদ খান যে ইনজুরিতে! মঙ্গলবার ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজের বাংলাদেশের বিপক্ষে ফাইনালে খেলতে পারবেন কি না সংশয় আছে। আফগানিস্তানের টিম ম্যানেজার নাজিম জার আব্দুর রহিম জাই বলেন, ‘রশিদ ফাইনাল খেলতে পারবে কি না তা এখনই বলতে পারছি না। সে ভালো করছে এবং আমরা অপেক্ষায় আছি সামনে কী হয় দেখার জন্য।’
শনিবার সিরিজের শেষ লীগ ম্যাচে বাংলাদেশের কাছে ৪ উইকেটে পরাজিত হয় রশিদের আফগানিস্তান। বাংলাদেশের ইনিংসে অষ্টম ওভারে ফিল্ডিং করার সময় রান বাঁচাতে গিয়ে হ্যামস্ট্রিংয়ে টান লাগে রশিদ খানের। সঙ্গে সঙ্গে মাঠ ছেড়ে যেতে বাধ্য হন তিনি। ১৪তম ওভারের আগে আর বোলিংয়ে আসতে পারেননি রশিদ। এরপর ইনজুরি নিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়েই বোলিং করেন।
সাফল্যও পান নিজের প্রথম দুই ওভারে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও সাব্বির রহমানকে তুলে নেন রশিদ। তাতে চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। তবে রশিদের করা ১৮তম ওভারেই বের করে করে নেন সাকিব-মোসাদ্দেক হোসেন। দুই চার ও এক ছয়ে ওই ওভারে ১৮ রান আসে। শেষ পর্যন্ত এক ওভার হাতে রেখেই ৪ উইকেটের জয় নিশ্চিত করে বাংলাদেশ।
ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে রশিদ বলেন, ‘আশা করছি আমি দ্রুতই ইনজুরি কাটিয়ে উঠতে পারব। এটা এখন খানিক জটিল মনে হচ্ছে। তবে ফাইনালের আগে ঠিক হয়ে যাওয়া উচিৎ। আমি চাচ্ছিলাম যে মাঠে গিয়ে বোলিং করে দেখি, কেমন হয়। আমার মনে হয় এখন ৫০-৬০ ভাগ ঠিক আছে।’
আফগানিস্তানের টিম ম্যানেজার নাজিম জারও আশাবাদী দলীয় অধিনায়কের খেলা নিয়ে। তিনি বলেন, ‘আমাদের হাতে ২-৩ দিন সময় আছে। আমি আশা করছি ইনজুরিটা গুরুতর কিছু নয়। সে আমাদের অধিনায়ক এবং দলের অতি গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়। যেকোনো সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে আমরা ভালোভাবে তার ইনজুরি অবস্থা পর্যবেক্ষণ করব।’ বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে আফগানিস্তানের সবচেয়ে সফল বোলার রশিদ। চলতি সিরিজে প্রতি ম্যাচেই টাইগারদের ভুগিয়েছে তার লেগস্পিন। টি-টোয়েন্টির সেরা বোলার রশিদ এখন পর্যন্ত ৪২ ম্যাচে ১২.০৪ গড়ে নিয়েছেন ৮১ উইকেট। বাংলাদেশের বিপক্ষে ৫ ম্যাচে তার শিকার ১২ উইকেট।