ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগে (ইপিএল) শনিবার ওয়াটফোর্ডের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেন বারনার্দো সিলভা। ২০১৭ সালে ম্যানচেস্টার সিটিতে নাম লেখানোর পর ৭৬ লীগ ম্যাচে প্রথম হ্যাটট্রিক পেলেন তিনি। ইংল্যান্ডের শীর্ষ লীগে পর্তুগিজ ফুটবলারদের মধ্যে বারনার্দো ছাড়া হ্যাটট্রিক পেয়েছেন কেবল দুজন- ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ও দিয়োগো জোতা। বারনার্দোর হ্যাটট্রিকের ম্যাচে ওয়াটফোর্ডকে ৮-০ গোলে বিধ্বস্ত করে ম্যান সিটি। যা ইপিএলে যে কোনো দলের বিপক্ষে তাদের সবচেয়ে বড় জয়ের রেকর্ড। ম্যাচের ১৮ মিনিটেই ৫-০ গোলে এগিয়ে যায় ম্যান সিটি। প্রিমিয়ার লীগের ইতিহাসে এত দ্রুত পাঁচ গোল দিতে পারেনি আর কোনো ক্লাব।
২০০৮ সালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে খেলার সময় নিউক্যাসলের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেছিলেন রোনালদো। ম্যানইউর জার্সিতে সেটি তার প্রথম ও একমাত্র হ্যাটট্রিক।
এরপর চলতি বছরের জানুয়ারিতে দ্বিতীয় পর্তুগিজ হিসেবে ম্যাচে তিন গোল করার কৃতিত্ব দেখান দিয়েগো জোতা। তাতেই উলভারহ্যাম্পটন ওয়ান্ডারার্সের ২২ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড জোতা একটি রেকর্ড গড়েন। রোনালদোরকে পেছনে ফেলে ইপিএলে হ্যাটট্রিক করা সর্ব কনিষ্ঠ পর্তুগিজ ফুটবলার হন তিনি।
সিটিজেনদের বড় জয়ে ম্যাচের প্রথম মিনিটেই গোল করেন স্প্যানিয়ার্ড ডেভিড সিলভা। যা চলতি মৌসুমে দ্রুততম গোলের রেকর্ড। এছাড়া একবার করে জালে বল পাঠান নিকোলাস ওটামেন্ডি, কেভিন ডি ব্রুইনা ও সার্জিও আগুয়েরো। এভারটনের সাবেক স্ট্রাইকার রোমেলু লুকাকুর পর দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে প্রিমিয়ার লীগে টানা ৭ ম্যাচে গোল করলেন আগুয়েরো।
অ্যাসিস্টে ওজিলকে ছাড়িয়ে ডি ব্রুইনা
ম্যান সিটির বড় জয়ে এক গোলের পাশাপাশি দুটি অ্যাসিস্ট করেন কেভিন ডি ব্রুইনা। তাতে প্রিমিয়ার লীগে অ্যাসিস্টে মেসুত ওজিলকে ছাড়িয়ে গেলেন তিনি। সাবেক জার্মান প্লেমেকার ওজিল ১৬৭ ম্যাচে ৫২ অ্যাসিস্ট করেছেন আর্সেনালের জার্সিতে। আর ১২৬ ম্যাচে বেলজিক প্লেমেকার ডি ব্রুইনা করছেন ৫৩ অ্যাসিস্ট। গত আগস্টে বোর্নমাউথের বিপক্ষে অ্যাসিস্ট করে দ্রুততম ৫০ অ্যাসিস্ট করার রেকর্ড গড়েন ডি ব্রুইনা। আর ২০১৫ সালে ডি ব্রুইনা ম্যান সিটিতে নাম লেখানোর পর তার বেশি অ্যাসিস্ট করতে পারেননি আর কোনো ফুটবলার। চলতি মৌসুমে এরই মধ্যে ৫ ম্যাচে ডি ব্রুইনা করে ফেলেছেন ৭ অ্যাসিস্ট। ইপিএলে থিয়েরি অঁরির এক মৌসুমে সর্বাধিক ২০ অ্যাসিস্টের রেকর্ড বোধ হয় এবার ভেঙে দেবেন ডি ব্রুইনা!