× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

রশিদ ‘বাধা’ উড়িয়ে শিরোপায় চোখ

খেলা

স্পোর্টস রিপোর্টার
২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯, সোমবার

জয়ের জন্য প্রয়োজন ১৮ বলে ২৭ রান। হাতে চার উইকেট। বল হাতে এলেন আফগান অধিনায়ক রশিদ খান। বর্তমান ক্রিকেট বিশ্বের সেরা লেগস্পিনার বল হাতে টাইগারদের জন্য অন্যতম বাধা। বল হাতে তিনি যেকোনো সময় ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারেন। তাই শঙ্কা ছিল। কিন্তু রশিদের প্রথম বলেই চার হাঁকালেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। এরপর সাকিব আল হাসান একটি চারের পর একটি ছক্কা মারলেন।
ওই ওভারেই ১৮ রান নিয়ে পরাজয়ের শঙ্কা উড়িয়ে দিলো বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত এক ওভার বাকি থাকতেই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে সাকিবরা। টি-টোয়েন্টিতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে চার ম্যাচ পর এই জয় টাইগারদের জন্য দারুণ স্বস্তির। রশিদকে স্বাচ্ছন্দে খেলতে পারাটাও মঙ্গলবারের ফাইনালের আগে ব্যাটসম্যানদের আত্মবিশ্বাস বাড়াবে। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে আরো একবার মোসাদ্দেক বলেন, ‘কখনোই বলিনি যে রশিদ খানের ভয়ে ছিলাম! মনে করি না এখানে ভয়ের কিছু আছে।’
কাল মিরপুর শেরেবাংলা মাঠে ফাইনাল। তার আগে রশিদকে নিয়ে যে মানসিক বাঁধা ছিল তা অনেকটা উড়ে গেছে এই ম্যাচের জয়ে। তাই টাইগাররা এখন আত্মশ্বিাস নিয়ে চোখ রাখছে শিরোপায়। মোসাদ্দেক বলেন, ‘জয় সব সময়ই আত্মবিশ্বাস জোগায়। ওদের কাছে আমরা অনেক ম্যাচ হেরেছি। তবে এখন ছন্দটা পেয়ে গেছি। ওদের সঙ্গে কীভাবে খেলতে হবে, আগেই বলেছিলাম একটু হিসাবি ক্রিকেট খেলতে হবে, সেটা গত দুই ম্যাচে আমরা খেলেছি। গত দুই ম্যাচে যেভাবে খেলেছি এটা ধরে রাখতে পারলে ফাইনালে আশা করি ভালো কিছুই হবে।’
আফগান ম্যাচে পেসারদের দারুণ বোলিংও বাংলাদেশের ইতিবাচক দিক। অধিনায়ক সাকিব যদিও প্রথম থেকেই আস্থা রেখেছিলেন স্পিনে। আর ব্রেকথ্রুটা আসে স্পিনেই। আফিফের এক ওভারে দুই উইকেটে মোমেন্টাম ফেরে বাংলাদেশের। এরপর বল হাতে আফগানদের ব্যাটিংয়ের চ্যালেঞ্জটা ভালোভাবেই সামাল দেন পেসাররা। মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, শফিউল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান মাঝের ওভারে চেপে ধরেছিলেন আফগান ব্যাটসম্যানদের।
একমাত্র টেস্টে ৭ স্পিনারের বাংলাদেশকে হারিয়ে দিয়েছিল আফগানরা। এমনকি টি-টোয়েন্টিতেও আফগানদের বিপক্ষে তিন স্পিনার নিয়ে সুবিধা করতে পারেনি সাকিবের দল। প্রথম দেখায় হার জুটেছিল। শনিবার চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে তিন পেসার নিয়ে খেলতে নেমে সফল। প্রত্যেকে নিয়েছেন ১টি করে উইকেট। এর মধ্যে সাইফউদ্দিন চার ওভারে ২৩, শফিউল ইসলাম ২৪ রান খরচ করেন। তাদের চেয়ে এক ওভার কম বল করে মোস্তাফিজ খরচ করেন ৩১ রান। বল হাতে নিজেদের প্রথম ওভারেই উইকেট পেতে পারতেন শফিউল। কিন্তু তার বলে ১ রানে জীবন পাওয়া রহমানুল্লাহ শেষ পর্যন্ত করেছেন ২৭ বলে ২৯ রান। তাই ফাইনালেও তিন পেসার খেলাতে পারে বাংলাদেশ। সেই অভাস দিয়েছেন বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন বিভাগের চেয়ারম্যান আকরাম খান। তিনি বলেন, ‘হ্যা, পেসাররা ভালো করেছে। আমরা আলোচনা করছি, দেখি যেভাবে সফল হয়েছে সেই কৌশলই থাকতে পারে।’
অন্যদিকে রশিদ খান ইনজুরিতে। ফিল্ডিং করার সময় হ্যামস্ট্রিংয়ে টান লেগে মাঠ ছাড়েন আফগান অধিনায়ক। ফিরে এসে ভালো করতে পারেননি। তার ইনজুরি কারণে বাংলাদেশের কি সুবিধা হয়েছিল? এমন প্রশ্নের জবাবে মোসাদ্দেক বলেন, ‘হয়তো চোটে না পড়লে আরেকটু ভালো বোলিং করতে পারত সে। কিন্তু এটা খেলা। আমাদের তখন ঝুঁকি নিতেই হতো (রশিদের যে ওভারে ১৮ রান নিয়েছে বাংলাদেশ)। আমরা সেদিকেই মনোযোগ দিয়েছি। ও চোটে ছিল কিনা আমরা খেয়াল করিনি (যে ওভারে মার খেয়েছে রশিদ)।’


অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর