× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

গুঁড়িয়ে দেয়া হলো রেল কলোনির অবৈধ বসতি

দেশ বিদেশ

স্টাফ রিপোর্টার
২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯, সোমবার

 রাজধানীর শাজাহানপুর রেলওয়ে কলোনির জায়গা দখল করে অবৈধভাবে গড়ে তোলা বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্লাবসহ হাজারও বসতবাড়ি গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে। গতকাল রেলওয়ের দু’টি টিম উচ্ছেদ অভিযানে অংশ নিয়ে এসব অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেয়। সকাল ১০টার দিকে শুরু হওয়া এ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান কার্যক্রম। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রেলওয়ের জায়গা দখল করে শাজাহানপুরে হাজার হাজার বসতবাড়ি গড়ে তোলা হয়েছে। স্থানীয় প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিদের ছত্রচ্ছায়ায় এসব অবৈধ স্থাপনা গড়ে তোলা হয়। এর সঙ্গে জড়িত ছিলেন গ্রেপ্তার হওয়া ক্যাসিনো সম্রাট খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া। বস্তির আকারে গড়ে তোলা এসব বাড়ি ভাড়া দিয়ে প্রতি মাসে কোটি টাকার ওপরে ভাড়া তোলা হয়। বছরের পর বছর ধরে রেলওয়ে কলোনির জায়গা দখল করে এসব অবৈধ স্থাপনা করা হলেও কেউ কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
কারণ রেলওয়ের কিছু অসাধু কর্মকর্তাও এখান থেকে যে আয় হয় তার ভাগ পান। কলোনি অঞ্চলের অবৈধ স্থাপনা নিয়ন্ত্রণ করতে ‘বাংলদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ’ নামে ক্লাব গড়ে তোলা হয়। এ ক্লাবে বখাটেদেরে আড্ডার পাশাপাশি জুয়ার আসরও বসতো বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। এদিকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের সময় রেলওয়ের টিম বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্লাবে ঢুকে জুয়া খেলার টেবিল এবং কয়েক বান্ডেল তাস পায়। এরপর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ক্লাবটি বুলডেজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেয়া রেলওয়ে ল্যান্ড অ্যান্ড বিল্ডিংয়ের ডেপুটি কমিশনার মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, ওপর মহলের নির্দেশে আমরা এ উচ্ছেদ অভিযান চালাচ্ছি। এখানে কোনো অবৈধ স্থাপনা থাকতে দেয়া হবে না। তিনি বলেন এ উচ্ছেদের পর আবার অবৈধ ভাবে দখলের সুযোগ থাকবে না। কারণ আমরা নিয়মিত মনিটরিং করবো। এখানে কোনো অবৈধ স্থাপনা আমরা থাকতে দেব না। স্থানীয় বাসিন্দা নুরুল আলম বলেন, রেলওয়ের লোকদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে প্রভাবশালীরা এখানে বছরের পর বছর ধরে অবৈধ স্থাপনা গড়ে তুলেছে। কিন্তু কেউ কিছু বলেনি। অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের যে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তা খুবই ভালো উদ্যোগ। তিনি বলেন, এখানে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা কয়েক হাজার বাড়ি আছে। এর কোথাও কোথাও অসামাজিক কাজও চলতো। আবার যে ক্লাব রয়েছে, ওখানে নিয়মিতই জুয়ার আসর বসতো। এর সব কিছুই নিয়ন্ত্রণ করতেন প্রভাবশালী নেতারা।


 
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর