নারদ ঘুষ কান্ডে অভিযুক্ত তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ কাকলি ঘোষ দন্তিদার কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন অর্থ নেবার কথা। নারদনিউজ ডট কমের একটি স্টিং অপারেশনে কাকলিসহ ১২ জন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ, বিধায়ক ও মন্ত্রীকে সরাসরি টাকার বান্ডিল নিতে দেখা গেছে গোপন ক্যামেরায় তোলা ছবিতে। ২০১৬ সালের রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের আগে সেব ছবি প্রকাশ্যে আনা হয়েছিল। সেই ছবিতে কাকলিকেও দেখা গিয়েছে অর্থ নিতে। তবে শনিবার উত্তর ২৪ পরগণার বারাসাতে একটি অনুষ্ঠানে টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করে নিয়ে কাকলি বলেছেন, নির্বাচন লড়তে সব রাজনৈতিক দল চাঁদা নেয়। আমি রিসিপ্ট দিয়েছি। সেই রিসিপ্ট জমা দেওয়া হয়েছে সিবিআইয়ের কাছে। আর কী দিয়েছি, নিয়েছি বলতে পারব না।
পাশাপাশি অবশ্য ষড়যন্ত্রের অভিযোগও করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ।
তিনি বলেছেন, একটা ষড়যন্ত্র হয়েছিল। অনেকেই জড়িয়ে পড়েছেন। সত্য বেরিয়ে আসবে বলে বিশ্বাস করি। তদন্তে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করেছি। আদালতের নির্দেশে নারদ ঘুষ কান্ডের তদন্ত করছে সিবিআই। ঘটনার সাড়ে তিন বছর পর গত বৃহস্পতিবার এই মামলায় প্রথম গ্রেপ্তার করা হয়েছে এক আইপিএস অফিসারকে। তিনিও ঘুষ নিয়েছিলেন বলে ভিডিওতে দেখা গিয়েছিল। আইপিএস অফিসার এসএমএইচ মির্জার মুখোমুখি বসিয়ে তৎকালীন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা, বর্তমানে বিজেপির নেতা মুকুল রায়কে জেরা করেছেন গোয়েন্দারা। জেরা পর্ব শেষে বেরিয়ে মুকুল রায় বলেছেন, তদন্তকারী সংস্থাকে সাহায্য করা সুনাগরিকের কাজ। যতবার ডাকবে সহযোগিতা করব। তবে তিনি মনে করেন, গোটাটাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ষড়যন্ত্র। যাঁরাই দুর্নীতিতে গ্রেপ্তার হচ্ছেন উনি বলে দিচ্ছেন মুকুল রায়ের নাম নিতে।