× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সিরিয়ায় কুর্দি বাহিনীর বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করেছে তুরস্ক

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৪ বছর আগে) অক্টোবর ৯, ২০১৯, বুধবার, ৯:১৫ পূর্বাহ্ন

সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত কুর্দি যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করেছে তুরস্ক। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড  ট্রাম্প ওই অঞ্চল থেকে মার্কিন সেনাদের প্রত্যাহার করে নেয়ার পরপরই এই অভিযান শুরু হলো। তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়্যিপ এরদোয়ান বুধবার এক টুইটে এই অভিযানটির কথা নিশ্চিত করেন। স্থানীয় অধিকারকর্মী ও কুর্দি যোদ্ধারা জানান, সেখানে বিমান হামলা চালানো হচ্ছে। পুরো অঞ্চলজুড়ে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এ খবর দিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম।
বিবিসি জানিয়েছে, অঞ্চলটি থেকে কুর্দি মিলিশিয়ামুক্ত করার কথা জানিয়েছেন এরদোয়ান। বলেছেন, সেখান থেকে কুর্দি মিলিয়াদের দূর করে সেটিকে ‘মুক্ত অঞ্চল’ করতে এই অভিযান শুরু করা হয়েছে। কুর্দি নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনী সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সেস (এসডিএফ) জানিয়েছে, তুর্কি যুদ্ধবিমানের হামলার শিকার হয়েছে বেসামরিকরাও।
এদিকে, পুরো বিশ্বকে চমকে দিয়ে গত সপ্তাহে সিরিয়ার উত্তরাঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন ট্রাম্প ।
তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের সঙ্গে এক ফোনালাপ শেষে এই ঘোষণা দেন তিনি। এর জন্য ব্যাপক সমালোচনার শিকার হয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। জবাবে তিনি তুরস্ককে হুমকি দিয়ে বলেছেন, হামলা অভিযানে সীমা ছাড়ালে তুরস্কের অর্থনীতি ধ্বংস করে দেয়া হবে।
সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে জঙ্গি গোষ্ঠী আইএস’র বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রবাহিনী হচ্ছে কুর্দি মিলিশিয়ারা। সেখানে কয়েক হাজার আইএস জঙ্গি ও তাদের আত্মীয়-স্বজনদের কারাগার দেখাশোনা করে থাকে কুর্দিরা। অঞ্চলটির অনেকাংশের নিয়ন্ত্রণই তাদের দখলে। সেখানে তুরস্কের অভিযান আইএস জঙ্গিদের বন্দি অবস্থার নিশ্চয়তাকে ঝুঁকিতে ফেলছে বলে সমালোচনা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এরদোয়ান বুধবার এক টুইটে লিখেন, তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্তবর্তী অঞ্চলটি যাতে সন্ত্রাসবাদের করিডোরে পরিণত না হয়, তা নিশ্চিত করতেই এই অভিযান চালু করা হয়েছে। সিরিয়ার ভ’খ-ীয় অখ-তা রক্ষা করতে ও স্থানীয় সম্প্রদায়কে সন্ত্রাসীদের নিয়ন্ত্রণ থেকে মুক্ত করাও এই অভিযানের লক্ষ্য। এছাড়া, সেখানে তুরস্কে অবস্থানরত ৩৬ লাখ সিরীয় শরণার্থীর বাসস্থানের ব্যবস্থাও করা হবে।
উল্লেখ্য, সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে সক্রিয় কুর্দি নেতৃত্বাধীন বাহিনীগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, কুর্দিশ পিপল’স প্রটেকশন ইউনিট (ওয়াইপিজি)। দলটিকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে তুরস্ক। তুরস্কের সাম্প্রতিক এই অভিযান নিয়ে ইতোমধ্যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও অন্যান্য বিশ্ব শক্তিগুলো।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর