× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার , ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

পদত্যাগ করেছেন ট্রাম্পের ৪র্থ হোমল্যান্ড সিকিউরিটির প্রধান

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৪ বছর আগে) অক্টোবর ১২, ২০১৯, শনিবার, ১১:০২ পূর্বাহ্ন

এবার পদত্যাগ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটির ভারপ্রাপ্ত প্রধান কেভিন ম্যাকালিনান (৪৮)। মাত্র ৬ মাস এ পদে দায়িত্ব পালন করলেন তিনি। একই সঙ্গে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের অধীনে হোমল্যান্ড সিকিউরিটির দায়িত্ব পালন করে পদত্যাগকারী চতুর্থ ব্যক্তি তিনি। এখন পঞ্চম বা ৫ নম্বর হিসেবে কে এই দায়িত্বে আসেন তা দেখার বিষয়। পদত্যাগ করার পর কেভিন ম্যাকালিনান চমৎকার দায়িত্ব পালন করেছেন বলে তার প্রশংসা করেছেন ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, কেভিন ম্যাকালিনান তার পরিবারকে বেশি সময় দিতে চাইছেন। তবে তার এ পদে কে নতুন নিয়োগ পান তা আগামী সপ্তাহে ঘোষণা হতে পারে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।


মেক্সিকো সীমান্ত দিয়ে যেসব অভিবাসী যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করে তা কমিয়ে আনতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যে কঠোর নীতি গ্রহণ করেছেন তা দেখাশোনা করতেন ম্যাকালিনান। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, এ নীতি নিয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে তার সম্পর্কে এক অশান্ত সম্পর্ক বিরাজ করছিল। অভিবাসন নীতি নিয়ে তিনি সমালোচনা করেছিলেন। সম্প্রতি ওয়াশিংটন ডিসিতে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়েছিলেন তিনি। ওদিকে তার পদত্যাগ ঘোষণা করে ট্রাম্প বলেছেন, অসাধারণ দায়িত্ব পালন করেছেন ম্যাকালিনান। সীমান্ত নীতি নিয়ে আমরা একত্রে চমৎকার কাজ করেছি। তিনি অনেক বছর সরকারি বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেছেন। এখন তিনি চাইছেন পরিবারকে অধিক সময় দিতে। এ ছাড়া তিনি বেসরকারি খাতে কাজ করতে চান।

উল্লেখ, ট্রাম্পের অধীনে তৃতীয় হোমল্যান্ড সিকিউরিটির প্রধান হিসেবে এপ্রিলে পদত্যাগ করেন কার্সটেন নেইলসেন। এরপরই এ পদে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে বসানো হয় ম্যাকালিনানকে। অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে তিনি যথেষ্ট কঠোর হচ্ছেন না বলে মাঝেমাঝেই অভিযোগ করতেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সময়ে কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রটেকশনের ডেপুটি কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন ম্যাকালিনান। তখনকার প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে তিনি সর্বোচ্চ বেসামরিক সেবা দেয়ার পুরস্কার পান ২০১৫ সালে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শূন্য সহনশীলতা নীতি সমর্থন করে তিনি মিডিয়ায় ব্যাপক সমালোচিত হন। কারণ, ওই নীতির ফলে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাঞ্চলের সীমান্ত দিয়ে যেসব পরিবার প্রবেশ করেছেন বা করছেন তাদেরকে পরিবারের কাছ থেকে আলাদা করা হয়। এ নিয়ে তীব্র বিতর্ক আছে। তবে জবাবে তিনি বলেছেন, তিনি এজেন্সির দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি এ পরিস্থিতি সৃষ্টি করেন নি। এ মাসের শুরুতে ওয়াশিংটন পোস্ট তার বিষয়ে রিপোর্ট করে যে, তিনি ট্রাম্প প্রশাসনের ভিতর ক্রমশ নিঃসঙ্গ হয়ে পড়ছেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর