× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সৌদি আরবে আরও ৩০০০ সেনা মোতায়েন করছে যুক্তরাষ্ট্র

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৪ বছর আগে) অক্টোবর ১২, ২০১৯, শনিবার, ১১:২৮ পূর্বাহ্ন

তেল স্থাপনায় ভয়াবহ হামলার পর সৌদি আরবে অতিরিক্ত ৩০০০ সেনা ও সমরাস্ত্র মোতায়েন করছে যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্য দিয়ে সেখানকার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে উন্নত করা হবে। শুক্রবার এ অনুমোদন দিয়েছে পেন্টাগন। এর মধ্যে অতিরিক্ত দুটি প্যাটিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র ব্যাটারি, একটি থাড ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী সিস্টেম, দুটি ফাইটার স্কোয়াড্রন এবং একটি এয়ার এক্সপেডিশনারি উইং মোতায়েন অনুমোদন করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এস্পার। পেন্টাগনের এক বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়েছে বলে খবর দিয়েছে অনলাইন আল জাজিরা।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, সৌদি আরবের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে উন্নত করতে সেখানে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েনের বিষয়টি সৌদি ক্রাউন প্রিন্স ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমানকে শুক্রবার সকালে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী এস্পার। তিনি বলেছেন, সার্বিক পরিস্থিতিতে সৌদি আরবে আরও ৩০০০ মার্কিন সেনা মোতায়েন করা হবে। এই সংখ্যা গত মাসে সেনা মোতায়েন করার সিদ্ধান্তের অতিরিক্ত।
এস্পার পরে সাংবাদিকদের বলেছেন, উপসাগরীয় অঞ্চলে অব্যাহত হুমকি বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে এই সেনা মোতায়েন। এ ছাড়া সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে আলোচনার পর এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। মোহাম্মদ বিন সালমান ইরানের অধিক আগ্রাসন থেকে সুরক্ষা কামনা করেন। এস্পার বলেন, এ জন্য তিনি অতিরিক্ত সহায়তার অনুরোধ করেছিলেন।
উল্লেখ্য, মে মাস থেকে মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্র তার সেনা সংখ্যা বৃদ্ধি করেছে। এ সংখ্যা প্রায় ১৪০০০। তবে গত মাসে সৌদি আরবের তেলক্ষেত্রে যে দুটি ভয়াবহ হামলা হয় তারপর সেখানে প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা বাড়ানোর কথা বলে যুক্তরাষ্ট্র। তারই অংশ হিসেবে এই সেনা মোতায়েন। ওই হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করে সৌদি আরব, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপিয়ান কিছু দেশ। তবে এর সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে তেহরান। ওদিকে সৌদি আরবে সেনা মোতায়েন নিয়ে ইরান প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। তাদের আশঙ্কা একটি যুদ্ধের দিকে অগ্রসর হচ্ছে প্রতিপক্ষ। কারণ, গত মাসে সৌদি ক্রাউন প্রিন্স বলেন, উদ্ভূত সমস্যার রাজনৈতিক সমাধানের চেয়ে সামরিক সমাধানের পক্ষে রিয়াদ। অর্থাৎ তিনি যুদ্ধের পক্ষে। কিন্তু তিনি তাতে হুঁশিয়ারি দেন যে, এমনটা বেছে নিলে তেলের দাম আকাশ ছুতে পারে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর