বৃষ্টির কারণে প্রথম দিন এক বলও খেলা হয়নি। দ্বিতীয় দিন শেষ বিকালে শুরু হয়ে খেলা হয়েছিল মাত্র ৩১ ওভার। যেখানে ঘটেনি উল্লেখযোগ্য কোনো ঘটনা। তবে গতকাল ম্যাচের তৃতীয় দিন প্রথম সেশনেই আগুনে বোলিং করেন বরিশাল বিভাগের ডানহাতি পেসার কামরুল ইসলাম রাব্বি। রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে জাতীয় ক্রিকেট লীগের দ্বিতীয় স্তরের (টিয়ার-টু) ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে সিলেট ও বরিশাল। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচের প্রথম ইনিংসে কামরুল রাব্বির বিধ্বংসী বোলিংয়ে মাত্র ৮৬ রানেই অলআউট হয়ে যায় সিলেট বিভাগ। আগেরদিন ৩১ ওভার খেলে ৩ উইকেটের বিনিময়ে ৬৮ রান করেছিল সিলেট। আর গতকাল স্কোরবোর্ডে মাত্র ১৮ রান যোগ করতেই সাজঘরে ফেরেন বাকি সাত ব্যাটসম্যান।
আগের দিন সিলেটের তিন উইকেটের মধ্যে ২টি নিয়েছিলেন ২৭ বছর বয়সী পেসার রাব্বি।
আর গতকাল তিনি তুলে নেন আরো চার উইকেট। দিনের প্রথম বলেই সরাসরি বোল্ড করেন সিলেটের বাঁহাতি তরুণ ব্যাটসম্যান জাকির হাসানকে। একই ওভারের শেষ বলে ফিরিয়েছেন উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান জাকের আলী অনিককেও। নিজের পরের ওভারে শাহানুর রহমানকে বোল্ড করে প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বারের মতো পাঁচ উইকেট তুলে নেন রাব্বি। আর একদম শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে রেজাউর রহমানকে আউট করে প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারে নিজের সেরা বোলিং নৈপুন্য দেখান জাতীয় দলের বাইরে থাকা এ ডানহাতি পেসার। প্রথম ইনিংসে রাব্বির বোলিং ফিগার ১৬.১-৫-২৪-৬। মাঝে অলক কাপালি, ইমরান আলি ও এনামুল হক জুনিয়রকে ফেরান ২৪ বছর বয়সী অফস্পিনার নুরুজ্জামান। তিন ওভার বোলিং করে কোনো রানই খরচ করেননি তিনি, শূন্য রানেই নিয়েছেন ৩টি উইকেট। সিলেটের পক্ষে ব্যাট হাতে দুই অঙ্ক ছুঁতে পেরেছেন কেবল জাকির হাসান (৩২), অলক কাপালি (১৮) এবং তৌফিক খান (১৬)। চার ব্যাটসম্যান আউট হন শূন্য রানে। জবাবে অধিনায়ক ফজলে রাব্বির ৭০ ও ওপেনার শাহরিয়ার নাফীসের ৬৬ রানের সুবাদে ২৩১/৮ সংগ্রহ নিয়ে ইনিংস ঘোষণা করে বরিশাল বিভাগ। রেজাউর রহমান তিন ও অলক কাপালি নেন দুই উইকেট। আর দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুটাও ভালো হয়নি সিলেটের। গতকাল ২৭/২ সংগ্রহ নিয়ে ম্যাচের তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করে সিলেট বিভাগ। বরিশাল বিভাগকে ফের ব্যাটিংয়ে নামাতে তখনও তাদের দরকার ছিল ১১৮ রানের।