× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

পাকিস্তান সফর- সরকারের অনুমতির অপেক্ষায় বিসিবি

খেলা

স্পোর্টস রিপোর্টার
১৩ অক্টোবর ২০১৯, রবিবার

আগামী বছর জানুয়ারির শেষ দিকে পাকিস্তানের বিপক্ষে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলার কথা রয়েছে বাংলাদেশ দলের। কিন্তু  শেষ পর্যন্ত সিরিজটি পাকিস্তানের মাটিতেই হবে কিনা তা নিয়ে রয়েছে যথেষ্ট সন্দেহ। কারণ এখন পর্যন্ত পাকিস্তানের নিরাপত্তা বিষয়টি ভাবাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি)। ২০০৯-এ শ্রীলঙ্কা দলের ওপর সন্ত্রাসী হামলার পর সব দেশই পাকিস্তান সফর বন্ধ রেখেছিল। কিন্তু লঙ্কানরাই এ মাসে ফের পাকিস্তানে গেছে খেলতে। তাই এবার বাংলাদেশকেও পাকিস্তান সফরে নিতে মরিয়া দেশটির ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। শুধু তাই নয় বাংলাদেশ, জিম্বাবুয়ের মতো দলগুলোর ওপর চাপ প্রয়োগ করে পিসিবি। সেই ক্ষেত্রে বিসিবির অবস্থান কী হবে? বিসিবি’র পক্ষ থেকে আবারো পরিষ্কার করে জানিয়ে দেয়া হয়েছে জাতীয় দল বলেই সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত না করে সফরে পাঠনো হবে না টাইগারদের।
যতই জোরাজুরি করা হোক না কেন নিজের ভালোটাই ভাববে বলে জানিয়েছেন বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান আকরাম খান। তিনি বলেন, ‘সেটা বুঝি এবং বুঝতে পারি (পাকিস্তানের চাপ)। এখানে তো আসলে করার কিছু নাই। যেটা আমাদের ভালো হবে, আমরা সেটাই চিন্তা করি। তারা কী করছে, সেটা আমরা চিন্তা করি না। সেটা ভেবেও লাভ নেই। আপনারা সবাই জানেন, নিউজিল্যান্ডের ঘটনার পর বিসিবি সভাপতি বলেছেন, সিকিউরিটিই আমাদের মূল প্রায়োরিটি।’
তবে চলতি মাসেই পাকিস্তান সফরে যাচ্ছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। এছাড়াও যাচ্ছে অনূর্ধ্ব-১৭ দলও। তাই পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের জন্য দারুণ সুযোগ জাতীয় দল নেয়ার ক্ষেত্রে চাপ দেয়ার। কিন্তু আকরাম খান জানিয়েছেন জাতীয় দলের সঙ্গে অন্যদের মেলানো ঠিক হবে না। তিনি বলেন, ‘সিকিউরিটির একটা ব্যাপার তো আছেই। মেয়েদের ক্রিকেটের উন্নতির ব্যাপারও আছে। জাতীয় দলের বিষয়টা আলাদা। সেখানে সবার দৃষ্টি থাকে। একটা কথা বারবার বলছি যে, জাতীয় দলের যাওয়ার ক্ষেত্রে সরকারের অনুমতিও লাগবে। সেটার জন্যই আমরা অপেক্ষা করছি। যদি সরকারের পক্ষ থেকে সবুজ সংকেত আসে, তাহলেই আমরা এগোবো।’ তাহলে কবে নাগাদ পাকিস্তান সফর নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে? ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান বলেন, ‘সিইও এখন দেশের বাইরে আছেন। তিনি আসার পর জানা যাবে। আমাদের একদল প্রতিনিধি হয়তো কিছুদিনের মধ্যে যাবে। সরকারি সংস্থা থেকে যাবে। ওনাদের প্রতিবেদনের পর আমরা কাজটা করবো।’ এছাড়াও নারী দলের সফরের বিষয়ে সরকারের কোনো আপত্তি নেই বলেই জানিয়েছেন আকরাম খান। তিনি বলেন, ‘অবশ্যই সরকারের সাড়া আছে। যদিও এটা আমার ডিপার্টমেন্ট না।’
সরকার পাকিস্তান সফরের বিষয়ে সবুজ সংকেত দিবে কিনা তা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে। কারণ এর আগেও ২০১২তে হাইকোর্টের রায়ে টাইগারদের পাকিস্তান সফরে যাওয়া হয়নি। এবারও এমন কিছু হবে সেটাই ক্রিকেট বোদ্ধাদের ধারণা। শুধু তাই নয় ক্রিকেটাররাও যেতে চাইবে কিনা সেটিও বড় বিষয়। তার চেয়ে বড় বিষয় জাতীয় দলের দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড ও ভারতীয়  কোচিং স্টাফ  সেখানে যেতে রাজি হবে কিনা। আবার টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচ হওয়ায় সাধারণ দল পাঠানোও ঠিক হবে না। সব মিলিয়ে শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানের পরিবর্তে দুবাইয়েই সিরিজটি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
‘বিশ্রাম প্রয়োজন সাকিবের’
জাতীয় ক্রিকেট লীগ (এনসিএল) শুরু হয়েছে। জাতীয় দলের বেশির ভাগ ক্রিকেটারই অংশ নিয়েছেন। শুধুমাত্র টেস্ট অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ছাড়া। চার দিনের লীগে তিনি খেলছেন না চার বছরের বেশি সময় ধরে। বর্তমানে ওয়েস্ট ইন্ডিজে রয়েছেন সিপিএল খেলতে। বিসিবি থেকে পাওয়া তার এনওসির সময় শেষ হয়েছে গতকাল (শনিবার)। তবে তার দল সিপিএলের ফাইনালে ওঠায় বিসিবি’র কাছ থেকে আরো দুই দিনের ছুটি বাড়িয়েছেন সাকিব। তবে দেশে ফিরে তিনি জাতীয় লীগে খেলবেন না। এই বিষয়ে আকরাম খান বলেন, ‘শনিবার পর্যন্ত সাকিবের এনওসি ছিল। এরপর ও আরো একটু বাড়িয়ে নিয়েছে। যেহেতু ওর দল সিপিএল ফাইনালে। আশা করি ১৩ বা ১৪ তারিখে ফিরবে। তারও বিশ্রামের ব্যাপার আছে। এটা কোচের উপর নির্ভর করবে। কোচের পরিকল্পনাই আমরা অনুসরণ করছি। কোচ যেটা বলবে সেটা। কোচের সাথে আলাপ করে সিদ্ধান্ত নিবো।’ বলার অপেক্ষা রাখে না ২৫শে অক্টোবর থেকে শুরু হতে যাওয়া ভারত সফরের জন্য ক্যাম্পে যোগ দিবেন তিনি। ভারত সফর শুরু হবে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ দিয়ে। তাই চার দিনের ম্যাচ খেলায় সাকিবের মন নেই তা স্পষ্ট।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর