× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

কর্মশালায় বাডাস’র সভাপতির ক্ষোভ /১০ বছরেও ডায়াবেটিস প্রতিরোধে নীতিমালা চূড়ান্ত করতে পারেনি সরকার

দেশ বিদেশ

স্টাফ রিপোর্টার
১৩ অক্টোবর ২০১৯, রবিবার

ডায়াবেটিস প্রতিরোধে জাতীয় নীতিমালার একটি খসড়া তৈরি করে তা সরকারের কাছে হস্তান্তর করেছিল বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি(বাডাস)। গত ১০ বছরেও ডায়াবেটিস রোগ নিয়ে মন্ত্রণলায়ে জমা দেয়া খসড়া নীতিমালা চূড়ান্ত করতে পারেনি সরকার। এজন্য ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সংঠনটির সভাপতি অধ্যাপক একে আজাদ খান। তিনি জানান, গত দশ বছর এই সংক্রান্ত ফাইল এই মন্ত্রণালয় থেকে অন্য মন্ত্রণালয় ঘুরছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। নীতিমালা কোনো মন্ত্রণালয় উপস্থাপন করবে তা নিয়েও চলছে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব। গতকাল মহাখালী ওষুধ প্রশাসন মিলনায়াতনে সাংবাদিকদের এক কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন। ওষুধ প্রশাসন ও বাংলাদেশ হেলথ্‌ রিপোর্টার্স ফোরাম যৌথভাবে এই কর্মশালার আয়োজন করেছে।
এতে সহযোগিতা করেছে নভো নরডিস্ক। বাডাস’র সভাপতি অধ্যাপক একে আজাদ খান আরো বলেন, বাংলাদেশে ডায়াবেটিস রোগী বাড়ছে। তবে এর সঠিক পরিসংখ্যান না থাকলেও আনুমানিক ৫০ লাখ লোক এই রোগে আক্রান্ত। গ্রামের চেয়ে শহরে ডায়াবেটিসের রোগী বেশি। বহুবিধি কারণে এটা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর মধ্যে জীবন-যাত্রার পরিবর্তন, নগরায়ন, শারীরিক পরিশ্রম কমে যাওয়া ইত্যাদি। তিনি আরো জানান, দেশে ৫০ শতাংশ অপরিকল্পিত গর্ভপতি হচ্ছেন। বিশেষজ্ঞরা জানান, দেশে ৫৭ শতাংশ লোক জানেনা যে তার ডায়াবেটিস রোগ আছে। বছরে এই রোগে প্রায় এক লাখ লোক মারা যাচ্ছে।
ডায়াবেটিস প্রতিরোধে জাতীয় নীতিমালার একটি খসড়া তৈরি করে তা সরকারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এতে যেসব বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে-ফাস্টফুড ও কোমল পানীয়ের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। পাঠ্যপুস্তকে যাতে প্রতিটি বিষয় অন্তর্ভুক্ত হয় সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদ্যোগ নেয়া উচিত। স্কুল-কলেজে খোলা মাঠ রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। এককভাবে না পারলেও কয়েকটি স্কুল বা কলেজ সম্মিলিতভাবে একটি খেলার মাঠের ব্যবস্থা করে সে ব্যাপারে বাধ্যবাধকতা আরোপ করা যেতে পারে। টিভি-রেডিও-সংবাদপত্রে সচেতনতামূলক বিজ্ঞাপন বা স্লোগান প্রচারের ব্যবস্থা করা দরকার। এলাকাভিত্তিক ওয়াকিং ক্লাব, সুইমিং ক্লাব ইত্যাদি গড়ে তোলা উচিত। গৃহায়ন কর্মসূচির অনুমতি দেয়ার সময় হাঁটাচলার জন্য পর্যাপ্ত রাস্তা ও খেলাধুলার জন্য কিছুটা জায়গা রাখার বিধান রাখা যেতে পারে। হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে স্বাস্থ্যশিক্ষার ব্যবস্থা রাখতে হবে। বিভিন্ন ধর্মীয় উপাসনালয়ে(যেমন মসজিদে খুতবার সময়) ডায়াবেটিস প্রতিরোধ ও সুস্বাস্থ্য রক্ষা সংক্রান্ত সচেতনতামূলক বক্তৃতা করার ব্যাপারে ধর্মীয় নেতাদের উৎসাহিত করার উদ্যোগ নিতে হবে।
 অনুষ্ঠানে ওষুধ প্রশাসনের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, তারা ১১৭ আইটেমের ওষুধের দাম নির্ধারণ করে থাকেন। বাকি ওষুধের দাম নির্ধারণে তাদের করার কিছু থাকে না। এই সংখ্যা আরো বাড়ানোর কাজ করছেন তারা। তবে তারা মাঝে মাঝে নির্ধারিত আইটেমের দাম সমন্বয় করে থাকেন। বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি তৌফিক মারুফের সভাপত্বিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন দৈনিক সমকাল-পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মুস্তাফিজ শফি, নভো নরডিস্ক-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনান্দ শেঠি, হেড অব কমার্শিয়াল অ্যাফেয়ার্স মো. তানবীর সাজিব, পাবলিক অ্যাফেয়ার্স ম্যানেজার গাজী তাওহীদ আহমেদ প্রমুখ।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর