কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হাগিবিসের আঘাতে জাপানে নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ১৯ জন। নিখোঁজ রয়েছেন আরো ১৬ জন। দেখা দিয়েছে ভয়াবহ বন্যা। ঘটেছে ভূমিধস। দেশটির উপর দিয়ে বয়ে গেছে ঘণ্টায় ২২৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস। এ সময় কমপক্ষে ১৪টি স্থানে নদীর পানি উপচে তীর ভাসিয়ে দিয়েছে। এতে স্থানীয় অধিবাসীদের মারাত্মক দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। গতকাল রোববার সেখানে জাপান ও স্কটল্যান্ডের মধ্যে রাগবি ওয়ার্ল্ড কাপের ম্যাচ হওয়ার কথা ছিল।
কিন্তু ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সেই ম্যাচ বাতিল করা হয়েছে। ওদিকে হাগিবিস জাপানের উত্তর দিকে অগ্রসর হচ্ছে। তা রোববার দিনশেষে উত্তর প্রশান্ত মহাসাগরে গিয়ে শেষ হতে পারে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।
স্থানীয় সময় শনিবার রাত ৭টার সামান্য পরেই এই ঘূর্ণিঝড় আঘাত করে রাজধানী টোকিওর দক্ষিণ-পশ্চিমে ইজু পেনিনসুলায়। পূর্ব উপকূল ধরে তা অগ্রসর হতে থাকে। এতে কমপক্ষে ৫ লাখ বাসাবাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। মাউন্ট ফিজির কাছে হাকোনে শহরে শুক্রবার ও শনিবার এক মিটার বা তিন ফুট পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়েছে। ৪৮ ঘণ্টায় জাপানে রেকর্ড করা এটাই সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের রেকর্ড। এতে বিভিন্ন এলাকায় ভূমিধস দেখা দেয়। এতে অনেক মানুষ ভেসে গেছে। তাদের ভাগ্যে কি ঘটেছে তা জানা যায়নি। তবে ১৫ জন নিখোঁজের তথ্য মিলেছে। আহত হয়েছেন অনেক মানুষ। গাড়িগুলো বন্যার পানিতে তলিয়ে গিয়ে তার ওপর জমেছে কাদার আস্তরণ। কোনোটি ভাসিয়ে নিয়ে গেছে বন্যার পানি আর ভূমিধস।