× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ধর্ষকের মুখে লোমহর্ষক বর্ণনা

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ থেকে
১৪ অক্টোবর ২০১৯, সোমবার

সাত বছরের একটি কন্যাশিশু। তার বাবার দোকানের কর্মচারী কবির হোসেনকে আঙ্কেল বলে ডাকে। একই বাড়িতে ভাড়া থাকার সুবাধে শিশুটির পরিবারের সঙ্গে কবির হোসেনের সখ্য তৈরি হয়। গ্রামের বাড়ি থেকে কবির হোসেনকে এনে নিজের দোকানে কর্মচারী হিসেবে নিয়োগ দেন। এদিকে বিভিন্ন প্রলোভনে শিশুটি নিজের রুমে নিয়ে যেত কবির হোসেন (৪০)। বিষয়টি কখনো খারাপভাবে দেখেনি শিশুর পরিবার। কিন্তু এই সুযোগটিকে কাজে লাগায় কবির হোসেন। সে শিশুটিকে তার রুমে নিয়ে মোবাইলে নানা অশ্লীল ছবি ও ভিডিও দেখাতো।
শিশুটিকে ওই ভিডিও চিত্র দেখিয়ে তার স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিতো কবির। এক সময় কৌশলে শিশুটিকে ধর্ষণ করে সে। শুধু তাই নয়, ধর্ষণের সেই দৃশ্য কবির তার মোবাইলে ধারণ করে। এভাবে দীর্ঘ ৫ মাস শিশুটিকে বিভিন্ন সময়ে ধর্ষণ করেছে কবির হোসেন। এক পর্যায়ে শিশুটি তার মাকে পুরো ঘটনা জানিয়ে দেয়। বিষয়টি টের পেয়ে শুক্রবার রাতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে লম্পট কবির হোসেন। পরে এলাকাবাসীর সহায়তায় শিশুটির পরিবার নারায়ণগঞ্জ শহরের উত্তর চাষাঢ়া থেকে কবিরকে আটক করে পুলিশে দেয়। পুলিশ আটক কবির হোসেনের কাছ থেকে মোবাইলে ধারণকৃত ধর্ষণের ভিডিও চিত্র জব্দ করে। শিশুটির সঙ্গে কতটা জঘন্যভাবে পাশবিক নির্যাতন করা হয়েছে মোবাইলে ধারণকৃত ভিডিও না দেখলে তা বোঝা যেত না বলে জানিয়েছে পুলিশ। ন্যক্কারজনক ঘটনাটি ঘটেছে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার ভুঁইগড়ে জনৈক খোকনের বাড়িতে। এদিকে ধর্ষিতা শিশুটির বাবা বাদী হয়ে শনিবার সকালে ফতুল্লা মডেল থানায় কবির হোসেনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। গ্রেপ্তারকৃত কবির হোসেন চাঁদপুর জেলার উত্তর মতলব থানার উত্তর রামপুরা এলাকার আবদুল হান্নান ওরফে হান্নু মিয়ার ছেলে।


মামলার তথ্যমতে, ধর্ষিতা শিশুটির পিতা চাঁদপুরের উত্তর মতলব থানার উত্তর রামপুরা এলাকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। তিনি সপরিবারে ফতুল্লার ভুঁইগড় খোকনের বাড়িতে ভাড়ায় বসবাস করেন। এবং একই এলাকায় হালুয়া-রুটির একটি দোকান দিয়েছেন। তিনি তার গ্রামের বাড়ির প্রতিবেশী আবদুল হান্নান ওরফে হান্নু মিয়ার ছেলে কবির হোসেনকে গ্রামের বাড়ি থেকে এনে হালুয়া রুটির দোকানে কর্মচারী হিসেবে নিয়োগ দেন। আর থাকার জন্য একই বাড়িতে একটি রুম ভাড়া নিয়ে দেন তাকে। এদিকে দোকানে কাজ করার সুবাধে দোকান মালিকের পরিবারের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে কবিরের। একপর্যায়ে দোকান মালিকের ৭ বছরের শিশুর দিকে কুনজর পড়ে কবিরের। চলতি বছরের মে মাস হতে কবির শিশুটিকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে তার রুমে নিয়ে গোপন স্থানে স্পর্শ করে। এমনকি কবির শিশুকে মোবাইলে ইউটিউবে নগ্ম ভিডিও ও ছবি দেখিয়ে গোপন স্থানে স্পর্শ করে। এবং ধর্ষণ করে। শুধু তাই নয়, ধর্ষণের চিত্র মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে রাখে। এভাবে দীর্ঘ ৫ মাস ধরে শিশুটিকে পর্যায়ক্রমে ধর্ষণ করে আসছিল কবির। এমনকি শিশুটিকে বিভিন্ন স্থানে বেড়াতে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়েও কবির শিশুটির ওপর পাশবিক নির্যাতন চালায়।
এদিকে বৃহস্পতিবার হঠাৎ কবিরের লালসার শিকার শিশুটি পুরো ঘটনা তার মাকে জানায়। পরে কবির যখন জানতে পারে শিশুটি বিষয়গুলো তার মাকে জানিয়ে দিয়েছে তখন শুক্রবার রাতে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় এলাকাবাসীর সহায়তায় কবিরকে দৌড়ে আটক করে শিশুটির পরিবার। পরে পুুুলিশে সংবাদ দিয়ে তাদের হাতে সোপর্দ করা হয় তাকে।
ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোদাচ্ছের হোসেন জানান, শিশুটিকে যেভাবে ধর্ষণ করেছে তা চলচ্চিত্রের ফ্লিমকেও হার মানিয়ে দিয়েছে। দীর্ঘদিনের পরিকল্পনা মোতাবেক কবির হোসেন শিশুটিকে ধর্ষণ করেছে। আর শিশুটির সঙ্গে কত বড় জঘন্যভাবে নির্যাতন করা হয়েছে মোবাইলে ধারণকৃত ভিডিও না দেখলে তা বোঝা যেত না। শিশুটিকে ধর্ষণ করে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করার অপরাধে কবির হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে শনিবার দুপুরে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর