বেলজিয়ামের পর দ্বিতীয় দল হিসেবে ইউরো ২০২০-এর মূল পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করলো ইতালি। শনিবার বাছাই পর্বের ‘জে’ গ্রুপের ম্যাচে গ্রিসকে ২-০ গোলে হারিয়ে টানা সপ্তম জয় তুলে নেয় আজ্জুরিরা। তবে ম্যাচটিতে সবার চোখে লেগেছে ইতালির সবুজ জার্সি। এএস রোমার হোম ভেন্যু স্তাদিও অলিম্পিকোতে এদিন নীলের বদলে সবুজ জার্সি পরে খেলতে নামে চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। নিজেদের ইতিহাসে এর আগে মাত্র একবারই সবুজ জার্সি গায়ে জড়িয়েছিলেন ইতালির ফুটবলাররা- ১৯৫৪ সালে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে। ৬৫ বছর আগের ওই ম্যাচটিও অনুষ্ঠিত হয় স্তাদিও অলিম্পিকোতে। স্কোরলাইনেও মিল! ২-০ গোলে আর্জেন্টিনাকে হারিয়েছিল আজ্জুরিরা।
ইতালির সবুজ জার্সিকে বলা হচ্ছে ‘রেনেসা কিট’। এ জার্সি দিয়ে ইতালির ফুটবলে একঝাঁক উদীয়মান খেলোয়াড়ের উত্থান বুঝানো হয়েছে।
২০১৬ ইউরোর পর ইতালির ফুটবলে আঁধার নেমে আসে। বাছাই পর্ব উতারাতে ব্যর্থ হওয়ায় ১৯৫৮ সালের পর প্রথমবার তারা ছিটকে যায় বিশ্বকাপ থেকে। রাশিয়ায় অনুষ্ঠিত ২০১৮ আসরে দর্শক সারিতে থাকা ইতালির অভাব বেশ বোধ করেছে ফুটবল বিশ্ব। তবে রবার্তো মানচিনির অধীনে এখন তারা দারুণ এক দল। দাপট দেখিয়ে ইউরোর মূল পর্ব নিশ্চিত করা ইতালির ভালো কিছুরই বার্তা দিয়ে রাখলো।
গ্রিসের বিপক্ষে ম্যাচের প্রথমার্ধে অবশ্য লক্ষ্যে কোনো শট নিতে পারেনি ইতালি। দুটি গোলই আসে দ্বিতীয়ার্ধে। ৬৩তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে প্রথম গোল করেন চেলসি তারকা জর্জিনহো। ৭৮তম মিনিটে জুভেন্টাস উইঙ্গার ফেদেরিকো বের্নানদেস্কির দ্বিতীয় গোলে ইতালির নিশ্চিত হয় জয়। ম্যাচের পর জর্জিনহো বলেন, ‘দুই বছর আগের বাজে সময় বিবেচনায় এটা দারুণ ফল। আমরা এই অর্জনের (ইউরোর মূল পর্ব) যোগ্য দল। কারণ আমরা এটার জন্য লড়েছি।’
‘জে’ গ্রুপের অপর ম্যাচে লিখটেনস্টেইনের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে আর্মেনিয়া। ৭ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে আর্মেনিয়া। মাত্র ২ পয়েন্ট নিয়ে তলানিতে লিখটেনস্টেইন। অন্যদিকে বাছাই পর্বে ‘এফ’ গ্রুপে মাল্টাকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দেয় সুইডেন। জোড়া গো করেন সেবাস্তিয়ান লারসন। ৭ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সুইডেন। ৫ পয়েন্ট এগিয়ে শীর্ষে স্পেন।