× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ইমরুলের ডাবলের দিনে ফের ব্যর্থ তামিম

খেলা

স্পোর্টস রিপোর্টার
১৪ অক্টোবর ২০১৯, সোমবার

জাতীয় দলে তামিম ইকবালের সফল ওপেনিং পার্টনার ইমরুল কায়েস। কিন্তু তামিম নিয়মিত দলে থাকলেও ইমরুল অবহেলিত। সবশেষ আফগানিস্তানের বিপক্ষে তার টেস্ট দলে থাকার কথা ছিল অবশ্য। কিন্তু একমাত্র ছেলের অসুস্থতার কারণে স্বেচ্ছায় দলের বাইরে থাকেন। মানসিক চাপ কাটিয়ে ইমরুল মাঠে ফিরেছেন জাতীয় ক্রিকেট লীগে (এনসিএল)। ফিরেই আবারো প্রমাণ করেছেন নিজেকে। খুলনা বিভাগের হয়ে গতকাল হাঁকান ডাবল সেঞ্চুরি। খুলনায় প্রথম দিনে বৃষ্টিতে টসই হয়নি।
শেখ অবু নাসের স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় দিনে টসে জিতে রংপুরকে ব্যাট করতে পাঠায় খুলনার অধিনায়ক আবদুর রাজ্জাক। ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসে রংপুরের সংগ্রহ ২২৭ রান। জবাবে তৃতীয় দিন ২৯ রানে অপরাজিত থাকা ইমরুল চতুর্থ দিন ৩১৯ বলে ২০২ রান তুলে অপরাজিত থাকেন। তার ব্যাটে ভর করে ৭ উইকেটে ৪৫৪ রান সংগ্রহ করে ইনিংস ঘোষণা করে খুলনা। নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে রংপুর ৩৩/১ তোলার পর ম্যাচ ড্র হয়। অন্যদিকে মিরপুর শেরেই বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ঢাকা মেট্রো-চট্টগ্রাম বিভাগের মধ্যকার ম্যাচটিও শেষ হয় ড্রয়ে। এই ম্যাচে সবাই তাকিয়ে ছিল দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবালের দিকে। কিন্ত দুই ইনিংসেই ব্যর্থ তিনি। ৩০ ও ৪৬ রানে দুবারই তামিম আউট হন জাতীয় দলের আরেক তারকা অলরাউন্ডার মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের বলে।
জাতীয় ক্রিকেট লীগের ২১তম আসরের প্রথম সেঞ্চুরির মালিক ইমরুল কায়েস। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তার আগের ডাবল সেঞ্চুরি ছিল ২০১৪ সালে বিসিএলের ফাইনালে। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে দক্ষিণাঞ্চলের হয়ে উত্তরাঞ্চলের বিপক্ষে ২০৪ রান করেছিলেন ২০ চার ও ৯ ছক্কায়। গতকাল তিনি তার দ্বিতীয় ডাবল সাজান ১৯ চার ও ৬ ছক্কায়। এ নিয়ে তার সেঞ্চুরির সংখ্যা দাঁড়ালো ১৮টি।
চতুর্থ দিনের সকালের সেশনে শুরুতে ইমরুল ছিলেন বেশ সতর্ক। ১০৫ বলে স্পর্শ করেন ফিফটি। এরপর খোলস ছেড়ে বের হয়ে বাড়াতে থাকেন রানের গতি। সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ১৮৩ বলে। অবশ্য তাকে স্বস্তি দিতে পারেননি অন্যপ্রান্তের ব্যাটসম্যানরা। নিয়মিত বিরতিতে উইকেটের পতন হয়। ইমরুল যখন সেঞ্চরি ছুঁয়েছে ততক্ষণে ৮ উইকেট নেই খুলনার। কিন্তু শেষ দুই ব্যাটসম্যানকে নিয়ে ঠিকই ডাবল সেঞ্চুরিতে পৌঁছে যান তিনি। শেষ দুই জুটিতে খুলনা তোলে ১২৬ রান। তাতে শেষ দুই ব্যাটসম্যান রুবেল হোসেন ও আল আমিন হোসেনের অবদান ছিল মাত্র ৩ রান! শুরুতে রুবেলকে নিয়ে নবম উইকেটে ইমরুল গড়েন ৮৪ রানের জুটি। শেষ ব্যাটসম্যান আল আমিন যখন উইকেটে গেলেন, ডাবল সেঞ্চুরি থেকে তখনো ২৬ রান দূরে ইমরুল। তবে লক্ষ্যে পৌঁছে যান ঠিকই। ২০২ রান করে থাকেন অপরাজিত। দেশের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে সর্বাধিক ৩১ সেঞ্চুরির মালিক খুলনার তুষার ইমরান। সর্বাধিক সেঞ্চুরিয়ানের তালিকায় পঞ্চম স্থানে আছেন ইমরুল।
বল হাতে উজ্জ্বল মাহমুদুল্লাহ
ঢাকা মেট্রো ও চট্টগ্রাম বিভাগের ম্যাচ শেষ পর্যন্ত ড্র’। টায়ার-২ হলেও এই ম্যাচে নজর ছিল সবার। কারণ জাতীয় দলের তারকা ক্রিকেটার তামিম ইকবাল, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও মুমিনুল হক সৌরভ খেলেন ম্যাচটিতে। ব্যাট করতে নেমে চট্টগ্রাম চট্টগ্রামের প্রথম ইনিংসে সংগ্রহ ২৯০ রান। সেখানে তামিমের অবদান মাত্র ৩০ রানের। আর মুমিনুল করেছেন ১১ রান। জবাব দিতে নেমে ঢাকা মেট্রো প্রথম ইনিংসে তুলে ৩৫৪ রান। ম্যাচের তৃতীয় দিন ৮ম উইকেটে প্রতিরোধ গড়ে তোলা শহীদুল ও জাবিদ সেঞ্চুরি তুলে নিতে ব্যর্থ হন চতুর্থ দিন। শহিদুল ৮৫ ও জাবিদ ৮৩ রানে আউট হন। দ্বিতীয় ইনিংসে দিনের বাকিটা সময় ব্যাট করে চট্টগ্রাম বিভাগের সংগ্রহ ২২৭/৫। এদিন তামিমের ব্যাট থেকে আসে ৪৬ রান। দুই ইনিংসেই তিনি আউট হয়েছেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের বলে। দুই ইনিংসেই রিয়াদ ৩টি করে উইকেট তুলে নিয়েছেন। দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যর্থ অধিনায়ক মুমিনুল। এদিন তিনি নিজের নামের পাশে কোন রানই যোগ করতে পারেননি মুমিনুল।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর