রাজধানীতে দুই বাসের রেষারেষিতে কলেজছাত্র রাজীব হোসেনের মৃত্যুর ঘটনায় দুই ভাইকে আগামী এক মাসের মধ্যে ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে স্বজন পরিবহনের মালিক পক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে আপিল বিভাগ। গতকাল হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে স্বজন পরিবহনের করা আবেদনের শুনানিকালে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে রাজীবের পক্ষে শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। অপরদিকে, স্বজন পরিবহনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শফিকুল ইসলাম।
রুহুল কুদ্দুস কাজল জানান, হাইকোর্ট বিভাগ রাজীবের পরিবারকে ২৫ লাখ টাকা করে ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে বিআরটিসি ও স্বজন পরিবহন কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। এর বিরুদ্ধে স্বজন পরিবহন আপিল বিভাগে আবেদন করেছিল। আপিল বিভাগ তাদের বলেছেন, এক মাসের মধ্যে ১০ লাখ টাকা রাজীবের দুই ভাইকে দিতে হবে। আগামী ১৭ নভেম্বর বিষয়টি আবার শুনানির জন্য আপিল বিভাগে আসবে।
গত ২০শে জুন দুই মাসের মধ্যে রাজীবের পরিবারকে ২৫ লাখ টাকা করে মোট ৫০ লাখ টাকা দিতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন (বিআরটিসি) ও স্বজন পরিবহন কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছিলো হাইকোর্ট।
এই রায় স্থগিত চেয়ে স্বজন পরিবহন আপিল বিভাগে আবেদন করে, যা গত ১৭ই জুলাই চেম্বার বিচারপতির আদালতে ওঠে। সেদিন আদালত আবেদনটি ১৩ অক্টোবর আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়ে দেন। এর ধারাবাহিকতায় রোববার আপিল বিভাগে শুনানি হয়।
উল্লেখ্য গত বছরের ৩রা এপ্রিল বিআরটিসির একটি দোতলা বাসের পেছনের ফটকে দাঁড়িয়ে গন্তব্যে যাচ্ছিলেন সরকারি তিতুমীর কলেজের স্নাতকের (বাণিজ্য) দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র রাজীব হোসেন (২১)। তার হাতটি জানালায় সামান্য বাইরে ছিল। হঠাৎ করেই পেছন থেকে স্বজন পরিবহনের একটি বাস বিআরটিসির বাসটিকে ওভারটেক করার জন্য ঢুকে পড়ে। দুই বাসের চাপে রাজীবের হাত শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান রাজীব।