ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদ ইস্যুতে মামলার শুনানি আগামী ১৭ই অক্টোবর বৃহস্পতিবার শেষ করবে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। এদিনই রায় নির্ধারণ করবেন আদালতের বিচারকরা। তারপর তারা আগামী ১৭ই নভেম্বর প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের কাছে রায় জমা দেবেন। এ জন্য আগেভাগে অযোধ্যা শহরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। কারণ, এই মসজিদকে কেন্দ্র করে বিরোধে হিন্দু ও মুসলিমদের মধ্যে ভয়াবহ দাঙ্গা হয়েছে এর আগে। উত্তর প্রদেশের অযোধ্যা শহরে ষোড়শ শতাব্দীতে নির্মিত বাবরি মসজিদ। একে কেন্দ্র করে দশকের পর দশক হিন্দু ও মুসলিমদের মধ্যে তিক্ত বিরোধিতা চলছে। ১৯৯২ সালে এই উত্তেজনা অগ্নিরূপ ধারণ করে।
ওই সময় হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন ওই মসজিদটি ধ্বংস করে। এতে শুরু হয় ধর্মভিত্তিক দাঙ্গা। এতে কমপক্ষে ২০০০ মানুষ নিহত হন। মসজিদটি নিয়ে মামলার একের পর এক শুনানি হয়েছে। রায়ও হয়েছে ২০১০ সালে। সেই রায়ে বাবরি মসজিদ এলাকাকে হিন্দু ও মুসলিমদের মধ্যে ভাগ করে দেয়ার কথা বলা হয়। এতে হিন্দুদেরকে বেশির ভাগ অংশ দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। কিন্তু ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হয়। সেই আপিলের শুনানি শেষে ১৭ই অক্টোবর শুনানি চূড়ান্ত করে রায় লেখার কথা রয়েছে সুপ্রিম কোর্টের। এ জন্য চার জনের বেশি মানুষ একত্রিত হওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে ৩১ শে আগস্ট ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। রোববার অযোধ্যার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অনুজ কে ঝা বলেছেন, শনিবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো কঠোর করা হয়েছে। তিনি বলেছেন, অযোধ্যা ও সফরে যাওয়া মানুষদের নিরাপত্তার কথা মাথায় নিয়ে সরকারের অনুমতিক্রমে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। এর আওতায় কোনো ড্রোন বা মনুষ্যবিহীন আকাশযান, অজ্ঞাত উড়ন্ত কোনো বস্তু উড়ানো নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ধর্মীয় বিভিন্ন উৎসবে হিন্দুদের মধ্যে আতশবাজি উৎসবের প্রচলন থাকলেও তা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এই নির্দেশ বহাল থাকবে ১০ই ডিসেম্বর পর্যন্ত।