× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার , ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ইন্দুরকানীতে বাল্যবিয়ে বন্ধ

বাংলারজমিন

ইন্দুরকানী (পিরোজপুর) প্রতিনিধি
১৫ অক্টোবর ২০১৯, মঙ্গলবার

ইন্দুরকানীতে ওসির হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ের হাত থেকে রক্ষা পেলো ৭ম শ্রেণির মাদ্রাসাছাত্রী রাবেয়া আকতার (১৩)। সোমবার সকাল থেকেই চলছিল বিয়ের আয়োজন, রান্না-বান্না সহ সব আয়োজনই প্রায় সম্পন্ন। কনেপক্ষ বরপক্ষ আসার অপেক্ষায় কখন এসে কনেকে বিয়ে করে নিয়ে যাবেন। কিন্তু বাদ সাধল বেরসিক পুলিশ। বরপক্ষ উপস্থিত হওয়ার আগেই ইন্দুরকানী থানার ওসি মো. হাবিবুর রহমান বিয়েবাড়িতে উপস্থিত হয়ে বন্ধ করে দিলেন বাল্যবিয়ে। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে কনের বাবা আঃ ছত্তার হাওলাদার দৌড়ে পালিয়ে যান। ছেলেপক্ষও পুলিশের আসার কথা শুনে আত্মগোপন করে। কনে কালাইয়া গ্রামের মাছ ব্যবসায়ী মো. আঃ ছত্তার হাওলাদারের মেয়ে এবং কালাইয়া রাজিয়া রশিদ দাখিল মাদ্রাসার ৭ম শ্রেণির ছাত্রী।
একই গ্রামের আঃ রশিদ মোল্লার ছেলে মোঃ জাহিদুল ইসলাম মোল্লার (১৮) এর সঙ্গে ওই মাদ্রাসাছাত্রীর বাল্যবিয়ের আয়োজন চলছিল। জন্ম নিবন্ধন সনদ জাল করে ওই ছাত্রীর পরিবার বাল্যবিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছিল।
কনে রাবেয়া আকতার জানায়, বাবা মা আমাকে জোর করে বাল্যবিয়ে দিচ্ছিল। আমি এ বিয়েতে রাজি ছিলাম না।
ইন্দুরকানী থানার ওসি মো. হাবিবুর রহমান জানান, খবর শুনে ৭ম শ্রেণির মাদ্রাসাছাত্রীর বাল্যবিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
কনে এবং বর পক্ষকে সাবধান করে দেয়া হয়েছে পরবর্তীতে বাল্যবিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর