এক বছরে তৃতীয়বারের মতো ইনজুরিতে পড়লেন নেইমার। রোববার নাইজেরিয়ার বিপক্ষে ব্রাজিলের প্রীতি ম্যাচে মাত্র ১২ মিনিট খেলেই মাঠ থেকে ওঠে যান তিনি। বাঁ পায়ের হ্যামস্ট্রিংয়ে সমস্যা দেখা দিয়েছিল নেইমারের। এ কারণে চার সপ্তাহের জন্য মাঠের বাইরে ছিটকে গেছেন ব্রাজিলিয়ান তারকা। চোটের কারণে চ্যাম্পিয়ন্স লীগে ক্লাব ব্রুগের বিপক্ষে দুই ম্যাচ মিস করবেন নেইমার। আর লীগ ওয়ানে নিস, মার্শেই, দিজন ও ব্রেস্টের বিপক্ষেও খেলতে পারবেন না।

চোটের কারণে চলতি মৌসুমের শুরুতে মাঠে ছিলেন না নেইমার। তিনি মিস করেন কোপা আমেরিকা টুর্নামেন্টও। চোট কাটিয়ে ফেরার পর তুখোড় ফর্মে রয়েছেন এই ফুটবলার। এরই মধ্যে পিএসজির হয়ে ৫ ম্যাচে করেছেন ৪ গোল। ব্রাজিলের হয়ে শেষ চারটি প্রীতি ম্যাচেই মাঠে নামেন তিনি। চোট কাটিয়ে ফেরা নেইমারকে টানা খেলানো ঠিক হলো কি না এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তবে ব্রাজিল কোচ তিতে বলেন, ‘নেইমার চোটে পড়ার কোনো ঝুঁকি ছিল না। যদি তেমন কিছু থাকতো হতে তাকে খেলানো হতো কাণ্ডজ্ঞানহীন কাজ। আর নেইমারের কোনো সমস্যা থাকলে তার ক্লাব অবশ্যই ব্যাপারটা আমাকে জানাতো।’ আন্তর্জাতিক ডিউটি শেষে ফ্রান্সে ফিরে গেছেন নেইমার। পিএসজির ডাক্তারদের রিপোর্টের পরই জানা গেছে এক মাসের মতো বাইরে থাকতে হবে নেইমারকে।

নেইমারের ইনজুরির চিত্র
জানুয়ারি ২০১৪: গোড়ালির ইনজুরি, ৩২ দিন
এপ্রিল ২০১৪: পায়ের ইনজুরি, ২৫ দিন
জুলাই ২০১৪: মেরুদণ্ডের ইনজুরি, ৩২ দিন
আগস্ট ২০১৪: গোড়ালির ইনজুরি, ৭ দিন
ডিসেম্বর ২০১৫: হ্যামস্ট্রিং চোট, ১৮ দিন
জানুয়ারি ২০১৬: হ্যামস্ট্রিং চোট, ৭ দিন
ডিসেম্বর ২০১৬: হ্যামস্ট্রিং চোট, ৭ দিন
মার্চ ২০১৭: পায়ের মাসলে ইনজুরি, ৭ দিন
সেপ্টেম্বর ২০১৭: শারীরিক সমস্যা, ৪ দিন
নভেম্বর ২০১৭: শারীরিক সমস্যা, ১১ দিন
ফেব্রুয়ারি ২০১৮: পায়ের পাতার ইনজুরি, ৯০ দিন
নভেম্বর ২০১৮: অ্যাডাক্টর কমপ্লেইন্ট, ২৫ দিন
জানুয়ারি ২০১৯: পায়ের ইনজুরি, ৮৫ দিন
জুন ২০১৯: গোড়ালির লিগামেন্ট ইনজুরি, ৯০ দিন
অক্টোবর ২০১৯: হ্যামস্ট্রিং, ৪ সপ্তাহ