কিছুদিন আগেও লিওনেল মেসির মতো তারকাকে নিয়ে ধুঁকতে দেখা গেছে আর্জেন্টিনাকে। কিন্তু শেষ দুটো প্রীতি ম্যাচের পারফরম্যান্স বলছে, আলবিসেলেস্তেদের সেরা সময় ফিরছে। মেসি, সার্জিও আগুয়েরো, অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়ার মতো সিনিয়র ফুটবলারদের ছাড়াই তিন দিন আগে জার্মানির সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র করেছিল তারা। সেটিও ২-০ ব্যবধানে পিছিয়ে থেকে। আর রোববার ইকুয়েডরকে ৬-১ গোলে বিধ্বস্ত করলো আর্জেন্টিনার তারুণ্য নির্ভর দলটি! গত ১৫ বছরে ইকুয়েডরের বিপক্ষে এটি তাদের সবচেয়ে বড় জয়। ম্যাচ শেষে আর্জেন্টাইন কোচ লিওনেল স্কালোনি একটা ভবিষ্যদ্বাণীও করলেন। স্কালোনি বলেন, ‘কেউই অজেয় নয়। তবে আর্জেন্টিনার এই দলটাকে হারানো কঠিনই হবে।’
জার্মানির বিপক্ষে আর্জেন্টিনা ম্যাচটি খেলেছিল বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের হোমভেন্যু সিগনাল ইদুনা পার্কে।
দুই বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা ইকুয়েডরের মুখোমুখি হয় স্পেনে। স্প্যানিশ ক্লাব এলচের মাঠে ২০তম মিনিটে প্রথম গোল করেন লুকাস আলারিও। সাত মিনিট পর মার্কোস আকুইনার শট প্রতিপক্ষের পায়ে লেগে জালে জড়ালে ব্যবধান বাড়ে আর্জেন্টিনার। ৩২তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে তৃতীয় গোল করেন লেয়ান্দ্রো পারেদেস। এরপর ৬৬তম মিনিটে হেরমান পাজ্জেলা, ৮২তম মিনিটে নিকোলাস ডমিঙ্গেজ ও ৮৬তম মিনিটে লুকাস ওকাম্পোস গোল করেন। এবারের প্রীতি ম্যাচে আর্জেন্টিনার সেরা আবিষ্কার আলারিও-ওকাম্পোস। জার্মানির বিপক্ষে তাদের গোলেই ড্র করে ছিলেন আর্জেন্টিনা। স্কালোনি বলেন, ‘এই সফরটা ইতিবাচক ছিল। আমরা যা চেয়েছিলাম তা পেয়েছি। ছেলেরা নিজেদের সামর্থ্য দেখানোর সুযোগ পেয়েছে। যেমনটা আমি চেয়েছিলাম। আর এই জার্সি পরে খেলার মানে কী, তারা সেটাও বুঝতে পেরেছে। বিষয়টা ভেবে আমি খুব খুশি। পাঁচ-ছয়জন খেলোয়াড় আছে, তারা আমার দলের ভিত্তি। তাদের বেশি খেলানোর প্রয়োজন নেই। কারণ তারা নিজেদের প্রমাণ করেছে এবং আমাদের যথেষ্ট দিয়েছে। এরপরও আপনি হারতে পারেন। সেরা দল সব সময় জেতে না।’
আর্জেন্টিনার পরবর্তী ম্যাচ আসছে নভেম্বরে ব্রাজিলের বিপক্ষে। এরপর বাংলাদেশের মাটিতে প্যারাগুয়ের মুখোমুখি হওয়ার কথা রয়েছে তাদের। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ওই ম্যাচ দিয়ে তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে মাঠে ফিরবেন সুপারস্টার মেসি।