বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন সৌরভ গাঙ্গুলি। কারণ বিসিসিআইয়ের নির্বাচনে সভাপতি পদে শুধুমাত্র গাঙ্গুলি মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন। যদিও প্রথম দিকে আরেক প্রতিদ্বন্দ্বী ব্রিজেশ প্যাটেলের নাম শোনা গিয়েছিল। কিন্ত শনিবার অনেকটা নাটকীয়ভাবে বিসিসিআই’র বিভিন্ন রাজ্য সংস্থার প্রতিনিধিরা পরের প্রেসিডেন্ট হিসেবে বাছাই করে গাঙ্গুলীকে। গতকাল মুম্বইয়ে বিসিসিআইয়ের সদর দপ্তরে সভাপতি পদে সৌরভ গাঙ্গুলি মনোনয়ন পত্র জমা দিতে যান। তখন তার সঙ্গে ছিলেন সাবেক সভাপতি এন শ্রীনিবাসন, রাজীব শুক্লা, নিরঞ্জন শাহদের মতো প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। এরপরই প্রশ্ন উঠেছে, শ্রীনিবাসের কলকাঠিতেই কি তাহলে সভাপতি হচ্ছেন গাঙ্গুলি?
এন শ্রীনিবাস দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত সাবেক বিসিসিআই সভাপতি। তার বিরুদ্ধে আইসিসিতে হস্তক্ষেপেরও অভিযোগ রয়েছে।
শ্রীনি আইসিসির চেয়ারম্যান থাকাবস্থায় ২০১৫ বিশ্বকাপে ভারত-বাংলাদেশ কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে রোহিত শর্মার বিতর্কিত ‘নো’ বল সমালোচনার ঝড় তোলে। সে সময় সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন বাংলাদেশের আহম মুস্তফা কামাল। কিন্তু শ্রীনির আধিপত্যে প্রকৃত অর্থে কোনো ক্ষমতা ছিল না তার। অস্ট্রেলিয়ার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর নিয়মানুযায়ী বিজয়ী দলের হাতে ট্রফি তুলে দেয়ার কথা ছিল মুস্তফা কামালের। কিন্তু তার স্থলে ছিলে শ্রীনিবাস। এরপর পদত্যাগ করেছিলেন মোস্তফা কামাল। দায়িত্বে না থাকলেও পর্দার আড়ালে থেকে এখনো ভারতীয় বোর্ডের ওপর প্রভাব খাটায় শ্রীনি। তার দাপটে গাঙ্গুলি সভাপতি হওয়ার বিষয়টি তাই অবাক হওয়ার মতো কিছু নয়। তবে ২৩ অক্টোবর নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি হতে যাওয়া গাঙ্গুলি হাতে মাত্র ১০ মাস সময় পাবেন। এই সময়ের মধ্যেই ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধার করতে চান ক্রিকেট এসোসিয়েশন অব বেঙ্গলের (সিবিএ) সাবেক এই সভাপতি। তিনি বলেন, ‘আমি এমন সময়ে দায়িত্ব নিতে যাচ্ছি যখন বিসিসিআই খুব ভালো অবস্থায় নেই। এর ভাবমূর্তি সমপ্রতি কিছুটা হুমকির মুখে। আমার মনে হয় ভালো কিছু করতে পারার এটাই সুবর্ণ সুযোগ। আমি প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটারদের দেখভালে যা যা করার দরকার করবো। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটারদের আর্থিক বিষয়টা আমি দেখার চেষ্টা করবো।’ জাগমোহন ডালমিয়ার পর পশ্চিমবঙ্গ থেকে দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি হচ্ছেন সৌরভ গাঙ্গুলি। খেলোয়াড়ি জীবনে ভারতের হয়ে তিন ফরম্যাট মিলিয়ে ১৮০০০ রান রয়েছে তার। দীর্ঘ সময় জাতীয় ক্রিকেট দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ভারতকে ২০০৩ বিশ্বকাপের ফাইনালে নিয়ে যান বাঁহাতি এই ওপেনার।