× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

দর্শকদের স্তব্ধ করে দিতে চান জেমি

খেলা

স্পোর্টস রিপোর্টার
১৫ অক্টোবর ২০১৯, মঙ্গলবার

কলকাতার বাঙালিরা ফুটবল পাগল। তাদের কারণে ভারতের বেশির ভাগ বিখ্যাত ক্লাবের জন্ম এই শহরে। সেই ফুটবলের শহরে আট বছর পর খেলতে এসেছে ভারত জাতীয় দল। বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে আজ তাদের প্রতিপক্ষ প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশ। প্রায় ৩৪ বছর এই বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে মুখোমুখি হচ্ছে এ দু’দল। এই ম্যাচটিকে ঘিরে আগ্রহের কমতি নেই ভারতীয়দের। অথচ ম্যাচের আগের দিনই টিকিট কাউন্টারে সোল্ড আউটের স্টিকার ঝুলিয়ে দিয়েছেন অল ইন্ডিয়া ফুটবল এসোসিয়েশন (আইএফএ)। কারো কাছেই টিকিট মিলছে না।
আইএফএ জানিয়েছে এরিমধ্যে টিকিট ফুরিয়ে গেছে। কলকাতায় পা রেখেই ম্যাচটি নিয়ে দর্শকদের উত্তেজনা আঁচ করতে পেরেছেন বাংলাদেশ কোচ জেমি ডে। তাইতো গ্যালারি ভর্তি এসব দর্শকদের থামিয়ে দিতে চাইছেন তিনি। আর সেটা করতেই শিষ্যদের প্রস্তুত করেছেন এই বৃটিশ কোচ।
কাতার ম্যাচে সবই করেছিল বাংলাদেশ। তবে গোলের খেলা ফুটবলে সেই গোলটিই ওই দিন পায়নি স্বাগতিক ফুটবলাররা। আফগানিস্তান ম্যাচেও একাধিক গোলের সুযোগ তৈরি করে গোলের দেখা মেলেনি। আগের ম্যাচ দুটিতে না হলেও আজ হবে বলে বিশ্বাস করেন জেমি। এর ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ২০০৩ সালের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতকে সবশেষ হারিয়েছিল বাংলাদেশ। সেবার ২-১ গোলে জিতেছিল দল। দুই দলের সবশেষ দুই মুখোমুখি হয়েছিল ড্র। বাংলাদেশ এই ম্যাচে নিঃসন্দেহে আন্ডারডগ। ৮৫ হাজার দর্শকের সামনে মাঠে নামবে ফেভারিট ভারত। এমন ম্যাচে স্বাভাবিক ভাবেই ওরা চাপে থাকবে। এই সুযোগটি আজ আমরা কাজে লাগিয়ে পুরো স্টেডিয়ামটি ঠাণ্ডা করে দিতে চাই। জেমি ডের অধীনে এ পর্যন্ত ১৩টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। তার মধ্যে সাতটিতে জয় পেয়েছে লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। সামনে জয়ের গ্রাফটা আরো বাড়বে বলে বিশ্বাস করেন জেমি। ‘আমার এই দলের বেশির ভাগ ফুটবলার তরুণ। সাত আটজন আছেন অনূর্ধ্ব-২৩ দলের। আশা করছি এরাই এক সময় বাংলাদেশের ফুটবলের রুগ্‌ন চেহারাটা পাল্টে দিবে’-বলেন তিনি। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের ফুটবলের অবকাঠামোর বিস্তর ফারাক উল্লেখ করে জেমি বলেন, একটা দেশের ফুটবল নির্ভর করে সে দেশের ফুটবল অবকাঠামোর ওপর। সেদিক থেকে ভারত অনেক এগিয়ে। জাতীয় দলেও তার ছাপ পড়েছে।
এদিকে আজকের ম্যাচে নিশ্চিতভাবে গ্যালারি থাকবে স্বাগতিক সমর্থকে ভরা। তবে তা ভারতের জন্য উল্টো চাপ হবে বলে বিশ্বাস বাংলাদেশ অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়ার। গতকাল সংবাদ সম্মেলনে জামাল জানালেন, ‘বড়’ সুযোগটি কাজে লাগাতে উন্মুখ হয়ে আছে তার দল। ‘আমি মনে করি, দুই দলের খেলোয়াড়রাই অধীর আগ্রহে এই ম্যাচ খেলতে চায়। এটা অনেক বড় ম্যাচ। বিপুল সমর্থকের সামনে ভারতের বিরুদ্ধে খেলতে মুখিয়ে আছি।’ ভারতের হৃদয় ভেঙে দেয়ার কথা জানিয়ে জামাল বলেন, এ ম্যাচে আমাদের ওপর কোনো চাপ নেই। চাপ ভারতের ওপর। ওরা নিজেদের মাঠে খেলবে। আমি শুধু সতীর্থদের বলতে চাই, মাঠে যাও, উপভোগ করো। কেননা এত দর্শকের সামনে তোমরা খেলার সুযোগ খুব কম পাবে। স্রেফ মাঠে যাও, মুহূর্তটা উপভোগ করো এবং ভারতের মতো ভালো একটি দলের বিপক্ষে তিন পয়েন্ট নিয়ে এসো। এ ম্যাচে বাংলাদেশ জিতলে দেশের ফুটবলে প্রেক্ষাপটই পরিবর্তন হয়ে যাবে জানিয়ে বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, যদি আমরা আজ জিততে পারি, আমাদের ফুটবলে কিছু পরিবর্তন আসবে। দেশের ফুটবলের আরো উন্নতিতে ভারত ম্যাচটা আমাদের জন্য বড় একটা সুযোগ হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর