× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বিদেশি পর্যটকে মুখরিত হবে হাওর: প্রেসিডেন্ট

দেশ বিদেশ

আশরাফুল ইসলাম ও অজিত দত্ত, অষ্টগ্রাম (কিশোরগঞ্জ) থ
১৫ অক্টোবর ২০১৯, মঙ্গলবার

প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, আজকে আমার বুক ভরে যায়, ভালো লাগে, যখন ঢাকা থেকে, কিশোরগঞ্জ থেকে, গাজীপুর থেকে, দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে এই হাওর এলাকা দেখার জন্য মানুষ ছুটে আসছে। ফেসবুকে দেখি, আমাদের সাবমার্সেবল রোড, অলওয়েদার রোড, অষ্টগ্রামের ব্রিজ দেখার জন্য হাজার হাজার মানুষ আসছে। এগুলোর আমি খবর পাই আর আপনারা প্রত্যক্ষ করেন। হাওর যখন সাজানো হবে, আরো গোছানো হবে, তখন বিদেশি পর্যটকরা আসবে এই হাওরে। সেজন্য হাওরের সৌন্দর্য যেন নষ্ট না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। সোমবার বিকালে সাবেক নির্বাচনী এলাকা অষ্টগ্রাম উপজেলায় এক সুধি সমাবেশে প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ এসব কথা বলেন। কিশোরগঞ্জ জেলায় প্রেসিডেন্টের এক সপ্তাহব্যাপী সফরের ষষ্ঠ দিনে অষ্টগ্রাম খেলার মাঠে এই সুধি সমাবেশের আয়োজন করা হয়। বক্তৃতায় প্রেসিডেন্ট বলেন, আমরা যখন স্কুল-কলেজে পড়তাম, তখন বন্ধুবান্ধবদের যখন বলতাম, ‘চলো আমাদের এলাকায় হাওরে আমাদের বাড়িতে বেড়াতে যাই’।
তখন তাদের নাক বেশ উঁচু ছিল। তারা বলতো, হাওরে গিয়ে কি করবো, কি দেখবো? কত অবহেলা, অবজ্ঞা আমাদের করতো। তাদের দাওয়াত দিয়ে আনতে চাইলেও তারা আসতে চাইতো না। এখন আমাদের অবহেলা করার আর সুযোগ নেই। প্রেসিডেন্ট বলেন, যখন আমি ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম অলওয়েদার রোডের কাজ শুরু করলাম তখন বিভিন্ন বড় লোকেরা তারা কেউ একশ’ একর, তিনশ’ একর, পাঁচশ’ একর এমনকি এক হাজার একর পর্যন্ত জমি কেনা শুরু করলো। এ ধরনের কথা যখন শুনলাম, আমি নেতৃবৃন্দকে বলেছি, কর্মকর্তাদের বলেছি, হাওরে জমি কেনাবেচা চলতে পারে। কিন্তু অষ্টগ্রামের জমি অষ্টগ্রামের মানুষ কিনতে পারে, ইটনার জমি ইটনার মানুষ কিনুক, মিঠামইনের মানুষ মিঠামইনের জমি কিনতে পারে। কোন রাঘব বোয়াল যারা আমাদের খেয়ে ফেলবে তারা কিনতে পারে না। কোন রাঘব বোয়ালকে হাওরের জমি কিনতে দেয়া হবে না।
প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ হাওর এলাকায় বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের বর্ণনা ও এর সুফল প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বলেন, বিগত বছরগুলোতে হাওরে অবিশ্বাস্য উন্নয়ন হয়েছে। হাওরের মতো প্রত্যন্ত এলাকায় সাবমার্সেবল রোড, সারা বছর চলাচল উপযোগী অলওয়েদার রোড, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়া হয়েছে। হাওরবাসী এক সময় এসব ভাবতেও পারত না। কিন্তু আজ সবই বাস্তবে পরিণত হয়েছে। উন্নয়নের সুফল ভোগ করতে শুরু করেছে হাওরবাসী। কাজেই এ উন্নয়ন রক্ষা করতে হবে। এজন্য প্রেসিডেন্ট সাবমার্সেবল রোড, অলওয়েল ওয়েদার রোডসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড রক্ষণাবেক্ষণের ব্যাপারে জনসাধারণকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান।
কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য প্রেসিডেন্টপুত্র রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক এর সভাপতিত্বে সুধী সমাবেশে বক্তৃতা করেন, কিশোরগঞ্জ-৫ (বাজিতপুর-নিকলী) আসনের সংসদ সদস্য মো. আফজাল হোসেন, কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া) আসনের সংসদ সদস্য সাবেক আইজিপি নূর মোহাম্মদ, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. জিল্লুর রহমান, অষ্টগ্রাম সরকারি রোটারী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মোজতাবা আরিফ খান, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম জেমস ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ফজলুল হক হায়দারী বাচ্চু। এ সময় প্রেসিডেন্টের প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন, জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী, পুলিশ সুপার মো. মাশরুকুর রহমান খালেদ বিপিএম (বার), জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পিপি শাহ আজিজুল হক সহ বিভিন্ন সামরিক, বেসামরিক উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
সুধি সমাবেশে যোগদানের জন্য প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ দুপুরে ইটনা থেকে হেলিকপ্টারযোগে অষ্টগ্রাম যান। অষ্টগ্রামের জেলা পরিষদ ডাকবাংলোর সামনে প্রেসিডেন্টকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। জেলা পরিষদ ডাকবাংলোতে রাত্রিযাপন শেষে সপ্তাহব্যাপী সফরের শেষ দিন আজ (মঙ্গলবার) বেলা ১১টায় প্রেসিডেন্ট অষ্টগ্রাম উপজেলার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ পরিদর্শন করবেন। দুপুর আড়াইটায় তিনি হেলিকপ্টারযোগে ঢাকার উদ্দেশ্যে অষ্টগ্রাম ত্যাগ করবেন। এর আগে গত ৯ই অক্টোবর ৭ দিনের সফরে প্রেসিডেন্ট কিশোরগঞ্জে এসেছেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর