× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

শিল্পমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি /অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত হলে দায়িদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

অনলাইন

অর্থনেতিক রিপোর্টার
(৪ বছর আগে) অক্টোবর ১৫, ২০১৯, মঙ্গলবার, ১২:২২ অপরাহ্ন

জাতীয় পর্যায়ে পণ্য ও সেবার গুণগত মান সুরক্ষা ও উন্নয়নে বিএসটিআইর সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারিকে সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব, সততা, নিষ্ঠা, আন্তরিকতা ও দেশ প্রেমের সঙ্গে অর্পিত দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। তিনি বলেন, এক্ষেত্রে কোনো ধরনের শৈথিল্য কিংবা দায়িত্বহীনতা সরকার মেনে নেবে না। দায়িত্ব অবহেলা কিংবা অনৈতিক কর্মকান্ডের সঙ্গে জড়িত হলে শিল্প মন্ত্রণালয় দায়ি ব্যক্তির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেবে। গতকাল বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউশন (বিএসটিআই) আয়োজিত ‘ভিডিও মান বৈশ্বিক সম্প্রীতির বন্ধনʼ শীর্ষক আলোচনা সভায় শিল্পমন্ত্রী এ নির্দেশ দেন।

বিশ্ব মান দিবস-২০১৯ উপলক্ষ্যে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে অবস্থিত বিএসটিআই’র প্রধান কার্যালয়ে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। শিল্প মন্ত্রণালয়ের রুটিন দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিব সালাহউদ্দিন মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিএসটিআই’র মহাপরিচালক মো. মুয়াজ্জেম হোসাইন এবং বিএসটিআই’র পরিচালক (মান) মো. সাজ্জাদুল বারী বক্তব্য রাখেন।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, বিএসটিআই জাতীয় পর্যায়ে একমাত্র মান নির্ধারণী প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠানের কর্মকাণ্ডের ওপর গুণগত শিল্পায়ন এবং জনগণের জীবনের সুরক্ষার বিষয়টি নির্ভর করে।
এ বিবেচনায় বর্তমান সরকার বিএসটিআই’র আধুনিকায়ন ও সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় আইন, নীতি ও বিধি প্রণয়ন করেছে। এর পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটির কর্মক্ষেত্র সম্প্রসারণে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হয়েছে। জনগণের দোরগোড়ায় বিএসটিআই’র সেবা পৌঁছে দিতে সরকার উপজেলা পর্যায়ে এর কার্যক্রম সম্প্রসারণ করবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।  

তিনি বলেন, শিল্প-কারখানায় কোনো নির্দিষ্ট এলাকার জনগোষ্ঠির ব্যবহারের জন্য পণ্য উৎপাদিত হয় না। এটি নিজ দেশের গ-ি পেরিয়ে বিদেশে রপ্তানির জন্য উৎপাদিত হয়ে থাকে। কোনো পণ্য অন্য দেশের ক্রেতা ভোক্তাদের কমপ্লায়েন্স অনুসরণ করে তৈরি না করলে, তা বিশ্ববাজারের প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারবে না। এর ফলে সংশ্লিষ্ট শিল্প উদ্যোক্তা ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং এক সময় তার প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাবে। এ বাস্তবতা মাথায় রেখে বাংলাদেশে বিশ্বমানের পণ্য উৎপাদনের প্রয়াস জোরদার করতে তিনি শিল্প উদ্যোক্তাদের প্রতি আহবান জানান।
 
বিএসটিআই মহাপরিচালক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ অনুযায়ী দেশে গুণগত শিল্পায়নের ধারা বেগবান করতে বিএসটিআই কাজ করছে। এর অংশ হিসেবে গত ৯ মাসে তৃণমূল পর্যায়ে পণ্য ও সেবার গুণগত মান সুরক্ষায় বিএসটিআইর কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১৮২৯টি সিএম লাইসেন্স প্রদান, ২০১১টি লাইসেন্স নবায়ন, ১৫০৫টি সার্ভিল্যান্স টিম এবং ১৪৭টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে। এ সময় ৩ কোটি ৯৬ লাখ ১৬ হাজার টাকা জরিমানা আদায়ের পাশাপাশি ৮৯৩টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়া ৪৬৫টি ফলের নমুনা পরীক্ষা করা হলেও এর কোনটিতে ফরমালিনের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি বলে তিনি উল্লেখ করেন।

এর আগে বিশ্ব মান দিবস ২০১৯ উপলক্ষে বিএসটিআইর উদ্যোগ এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা আয়োজন করা হয়। এটি প্রধান কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার প্রধান কার্যালয়ে এসে শেষ হয়। বিএসটিআই মহাপরিচালক এতে নেতৃত্ব দেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর