× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

‘গানের অবস্থা আর আগের মতো নেই’

বিনোদন

স্টাফ রিপোর্টার
১৬ অক্টোবর ২০১৯, বুধবার

এক বছর পর প্লেব্যাক করলাম। নাদের চৌধুরীর পরিচালনায় ‘জিন’ চলচ্চিত্রের জন্য একটি গানে কন্ঠ দিয়েছি। এটির সুর ও সংগীত পরিচালনা করেছেন আহমেদ কিসলু। এতে আমার সঙ্গে দ্বৈত কন্ঠ দিয়েছেন কিশোর। গানটি লিখেছেন গাজী মাজহারুল আনোয়ার। এটি প্রথম গাওয়ার ইচ্ছে ছিল না। কিন্তু বাবা বলাতে গাইলাম। তিনি আমাকে দিয়ে নতুন কিছু হোক এটি চেয়েছেন।
এক বছর পর প্লেব্যাক করা নিয়ে এভাবেই বললেন সংগীতশিল্পী দিঠি আনোয়ার। তিনি বরেণ্য গীতিকার ও চলচ্চিত্র নির্মাতা গাজী মাজহারুল আনোয়ারের মেয়ে। বাবার হাত ধরেই প্লেব্যাকে যাত্রা শুরু তার। দিঠির প্রথম প্লেব্যাক ছিল গাজী মাজহারুল আনোয়ারের নির্মাণে ‘উল্কা’ চলচ্চিত্রে। এ পর্যন্ত চলচ্চিত্র ও অডিওতে তার বাবার লেখা প্রায় ৯০টির মতো গান গেয়েছেন তিনি। বাবার গানে কন্ঠ দেওয়ার সময় অনুভূতি কেমন থাকে? এ প্রশ্নের উত্তরে দিঠি বলেন, বাবার গানে যখন কন্ঠ দিই আমার সামনে তখন একজন লিজেন্ডকে দেখি। আমি নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করি এমন একজন মানুষের গানে কন্ঠ দিতে পারছি বলে। এছাড়া বাবা সহজে প্রশংসা করেন না। তাই গান গাওয়ার সময় কেমন হলো ভেবে একটু ভয়ে থাকি। তবে সর্বশেষ গানের জন্য বাবা প্রশংসা করেছেন। মাঝে প্রায় দশ বছর শোবিজ থেকে দূরে ছিলেন দিঠি। ২০০৪ সালে বিয়ের পর তিনি আমেরিকায় চলে যান। সেখানে সংসার নিয়ে ব্যস্ত থাকার কারণে গানে দেখা যায়নি তাকে। নতুন ভাবে গানে ফেরা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সত্যি বলতে বাবা চাইতেন গানের পাশাপাশি যেন সংসারটাও ঠিক থাকে। কারণ দিন শেষে আমাদের পরিবারের মধ্যেই আসতে হয়। এজন্য বেশকিছু সময় পরিবারে ব্যস্ত ছিলাম। তবে শশুর বাড়িতে সংগীত নিয়ে আমাকে কোনো সমস্যায় পড়তে হয়নি। তারাও চাইতেন যেন আমি গান করি। ২০১৪ সালে গানে ফেরার পর থেকে নিয়মিত কাজ করছি।  এখন গানের অবস্থা আর আগের মতো নেই। অ্যালবামের চল উঠে গেছে। শিল্পীরা সিঙ্গেল গান প্রকাশ করছেন। এ সময়ে আপনার  পরিকল্পনা কি? এ প্রশ্নের জবাবে দিঠি বলেন, নতুন চারটি গান করেছি। এরমধ্যে তিনটি বাবার লেখা। খুব শিগগিরই এগুলো ক্রমান্বয়ে প্রকাশ করবো। ১৯৯৬ সালের দিকে দিঠির প্রথম একক অ্যালবাম প্রকাশ হয়। অ্যালবামটির শিরোনাম ‘লাল গোলাপের শুভেচ্ছা’। প্রথম অ্যালবাম দিয়ে সবার নজরে আসেন তিনি। ২০১৬ সালে তার সর্বশেষ অ্যালবাম প্রকাশ হয়। ‘পোড়া চোখ’ শিরোনামের সে অ্যালবামের গানগুলোও দারুণ প্রশংসিত হয়। গানের বাইরে দিঠি বিভিন্ন চ্যানেলে উপস্থাপনা করেন। মাছরাঙা টিভিতে ‘ইচ্ছে গানের দুপুর’, আরটিভিতে ‘এই রাত তোমার আমার’ ও চ্যানেল আইয়ে ‘পালকি’ নামের তিনটি অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করছেন তিনি। গান থেকে উপস্থানায় কেন? তার ভাষ্য, আমার মা জোহরা গাজী উপস্থাপনা করতেন। মায়ের প্রভাব আমার ওপর পড়েছে বলতে পারি। গান রিলেটেড অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করতে আমার বেশ ভালো লাগে। যে তিনটি অনুষ্ঠান আমি করছি তিনটিই গানের অনুষ্ঠান। তবে তিনটি অনুষ্ঠানের ধরন তিন রকম। এরমধ্যে ‘পালকি’ অনুষ্ঠানটি বাবার গান নিয়ে হয়। এটি আমার কাছে অন্য রকম অভিজ্ঞতা। সংগীত পরিবারেই জন্ম ও বেড়ে ওঠার কারণে শিশু বয়স থেকেই গানের সঙ্গে দিঠির পথচলা। তার শুরুর দিকের সময় ও এ সময়ের মধ্যে পার্থক্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন আমাদের সব কিছুতে  পরিবর্তন এসেছে। ছোটবেলায় দেখতাম একটি গান তৈরির আগে গীতিকার, সুরকার ও শিল্পীরা বসতেন। পরিকল্পনা করতেন। কিন্তু এখন একসঙ্গে বসে কাজ করার পরিকল্পনা হয় না বললেই চলে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর