ভোক্তাদের ২৪ ঘণ্টা সেবা দিতে হটলাইন চালুর বিষয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর হাইকোর্টে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করেছে। এ সময় তারা আগামী দুই মাসের মধ্যে হটলাইন চালু করতে পারবেন বলে আদালতকে জানান। গতকাল বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এ প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। এরপর আদালত পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ১৭ই ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন এবং ওই দিন আপডেট দিতে বলা হয়। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান। অপরদিকে ভোক্তা অধিকারের পক্ষে এডভোকেট কামরুজ্জামান কচি ও নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের পক্ষে এডভোকেট মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম (ফরিদ) শুনানি করেন।
আইনজীবী কামরুজ্জামান কচি সাংবাদিকদের বলেন, গত ২৭শে আগস্টে হাইকোর্টের আদেশের প্রেক্ষিতে আমরা হটলাইন চালুতে কী করেছি তার অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করেছি। আমরা টেন্ডার নোটিশ করেছি। এর মধ্যে ৯ কোম্পানির প্রস্তাবনা পেয়েছি। প্রাথমিকভাবে ৫ কোম্পানিকে সিলেক্ট করেছি। এরপর ২৮ দিন সময় দিতে হয়। যাচাই বাছাই করে একজনকে অ্যাওয়ার্ড দিব। আদালত ১৭ই ডিসেম্বরের মধ্যে আপডেট দিতে বলেছে। শিহাব উদ্দিন খান বলেন, তারা হটলাইন স্থাপন ও ব্যবস্থাপনার জন্য ৪৫ লাখ টাকা বরাদ্দ পেয়েছেন বলে আদালতকে জানিয়েছেন। এখন টেন্ডার প্রক্রিয়া ও স্থাপনের কাজ শেষ করার জন্য সময় নিয়েছেন। আদালত বলেছেন হটলাইন চালুর বিষয়টি ব্যাপকভাবে প্রচার করতে। সম্ভব হলে প্রধানমন্ত্রীকে অতিথি করে এ হটলাইন চালু করতে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হট লাইন চালুর জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ পেয়ে ইতোমধ্যে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। এখন দরপত্র প্রক্রিয়ার কাজ শেষ করে হটলাইন স্থাপন ও চালু করা হবে। গত ২৭শে আগস্ট ৩ মাসের মধ্যে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে হটলাইন চালু করার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এ জন্য কোনো প্রকার অজুহাত ছাড়া বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সহ অর্থ মন্ত্রণালয় বাজেট বরাদ্দের ব্যবস্থা করবেন। এ বিষয়ে ১৫ই অক্টোবর ভোক্তা অধিকার অধিদফতরকে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দেন আদালত। সে অনুসারে গতকাল অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।