কাতালোনিয়ার বিচ্ছিন্নতাবাদী নয় নেতাকে রাষ্ট্রদ্রোহ ও অন্যান্য অপরাধের সাজা হিসেবে কারাদণ্ড দেয়ার প্রতিবাদে অঞ্চলটিতে বিক্ষোভ করেছে তাদের সমর্থকরা। মঙ্গলবার সকাল থেকেই রাজধানী বার্সেলোনায় বিক্ষোভে নামেন স্বাধীনতাপন্থিরা। পুলিশের সঙ্গে তাদের কয়েক দফা সংঘর্ষ হয়। এ খবর দিয়েছে দ্য ফিন্যান্সিয়াল টাইমস ও বিবিসি।
খবরে বলা হয়, সোমবার এক রায়ে সেপনের সুপ্রিম কোর্ট নয় কাতালান বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাকে নয় থেকে সর্বোচ্চ ১৩ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড দেন। ২০১৭ সালে স্বাধীনতা গণভোট আয়োজনে তাদের ভূমিকার জন্য রাষ্ট্রদ্রোহে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। এ ছাড়া, আরো তিন জনকে অবাধ্যতায় দোষী সাব্যস্ত করে জরিমানা করা হয়। দোষী সাব্যস্ত প্রত্যেকেই তাদের অপরাধ অস্বীকার করেছেন।
সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে মঙ্গলবার কাতালোনিয়ার বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ করে স্বাধীনতাপন্থিরা। সকাল থেকেই বার্সেলোনার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিক্ষোভে নামেন তারা।
এ সময় পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, তারা পুলিশের অবরোধ ভেঙে ফেলার চেষ্টা করছে। অপর এক ভিডিওতে দেখা যায়, বিক্ষোভকারীদের ওপর লাঠি দিয়ে হামলা চালাচ্ছে পুলিশ। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে গ্যাস ছুড়ছে। এদিকে, সোমবার রায়ের পরপরও বিক্ষোভ করেন অনেকে। সাময়িকভাবে অঞ্চলটির হাইওয়ে বন্ধ করে দিয়েছিল বিক্ষোভকারীরা। পাশাপাশি, একাধিক উচ্চ গতিসমপন্ন ট্রেনের লাইন তুলে নিয়ে ট্রেন সেবাও অচল করে দিয়েছিল তারা। স্থানীয় জরুরি সেবা কর্মকর্তারা জানান, সোমবার রাতের বিক্ষোভে আহত হয়েছিলেন অন্তত ৭৮ ব্যক্তি। প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ১লা অক্টোবর সেপন থেকে স্বাধীনতার দাবিতে গণভোটের আয়োজন করেছিলেন তৎকালীন কাতালোনিয়া কর্তৃপক্ষ। সোমবার ওই গণভোট ঘিরে হওয়া মামলার রায় দিয়েছে সেপনের সুপ্রিম কোর্ট। রায়ে প্রধান আসামিদের রাষ্ট্রদ্রোহের অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। কাতালোনিয়ার সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট অরিয়ল ইয়ুঙ্কেরাসকে রাষ্ট্রদ্রোহ ও সরকারি তহবিলের অপব্যবহারের দায়ে ১৩ বছর কারাদণ্ড দেয়া হয়। এ ছাড়া, ছয় সাবেক কাতালান কর্মকর্তাকে ১০ থেকে ১২ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড দেয় সেপনের সুপ্রিম কোর্ট। এদিকে, মামলার অন্যতম প্রধান আসামি ও কাতালোনিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট কার্লোস পুইগদেমন্ট বর্তমানে বেলজিয়ামে অবস্থান করছেন।