গাজীপুর সিটি করপোরেশন মেয়র মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, আমাদের সহযোগী সংগঠনের কিছু নেতৃত্বের কারণে এখানে অনেক সমালোচনা হচ্ছে। যুবলীগের জাতীয় পর্যায়ের সম্মেলনের পর ওয়ার্ড ও থানা পর্যায়ের কমিটি দেয়া হবে। গাজীপুর যুবলীগের বর্তমান নেতৃত্ব এখানকার কমিটি দিতে পারবে না। কারণ তারা অনেকের কাছ থেকে টাকা-পয়সা নিয়েছে। ধোঁকাবাজি করেছে। টাকা-পয়সা দিয়ে কেউ কমিটিতে ঢুকতে পারবে না। বিতর্কিত কেউ কমিটিতে ঢুকতে পারবে না। তিনি গতকাল সিটি করপোরেশনের পুবাইলের সুকুন্দিরবাগ এলাকায় উন্নয়ন কাজ পরিদর্শন করতে গিয়ে এক পথসভায় এসব কথা বলেছেন।
এ সময় সাবেক প্রতিমন্ত্রী স্থানীয় সংসদ সদস্য মেহের আফরোজ চুমকি, জেলা পরিষদের প্যানেল মেয়র এস এম মোকসেদ আলম, সিটির ওয়ার্ড কাউন্সিলর মনিরুজ্জামান, সাবেক কাউন্সিলর বিল্লাল হোসেনসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় মেয়র জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমরা অচিরেই এলাকার আওয়ামী লীগের কমিটি দেবো। সহযোগী সংগঠনের কমিটি দেবো। যারা বিতর্কিত, তারা কমিটিতে আসতে পারবে না। আওয়ামী লীগ নিয়ে, সংসদ নিয়ে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিয়ে ও সংসদ সদস্যদের নিয়ে যেন কেউ সমালোচনা করতে না পারে। আমাদের সহযোগী সংগঠনের কিছু নেতৃত্বের কারণে এখানে অনেক সমালোচনা হচ্ছে। গত চার বছর ধরে গাজীপুরে যুবলীগের কমিটি ছিল। তারা চার বছরে এখানে স্থানীয়ভাবে যুবলীগের কমিটি দেয়নি। আগামী ২৩ শে নভেম্বর যুব লীগের জাতীয় সম্মেলনের পর ওয়ার্ড ও থানা পর্যায়ে কমিটি দেয়া হবে। গাজীপুরের বর্তমান নেতৃত্ব এখানে কমিটি দিতে পারবে না। কারণ তারা অনেকের কাছ থেকে টাকা-পয়সা নিয়েছে। ধোঁকাবাজি করেছে। টাকা-পয়সা দিয়ে কেউ কমিটিতে ঢুকতে পারবে না, তা আমরা বলে দিয়েছি। স্বেচ্ছাসেবক লীগকেও বলে দিয়েছি কোনো ধরনের অর্থের বিনিময়ে কেউ কমিটিতে- নেতৃত্বে আসতে পারবে না। এই এলাকার সন্তান শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের আদর্শ ছিল। শহীদ ময়েজ উদ্দিন আহমেদ এর আদর্শ ছিল। রাজনীতি করতে হবে আদর্শ নিয়ে। আমাদের নামে স্লোগান দিয়ে যাতে কেউ কোনো অন্যায় করতে না পারে। এ সময় তিনি আরো বলেন, আপনারা অনেকদিন ভাঙা রাস্তায় চলাফেরা করে কষ্ট করেছেন। আমরা এলাকার রাস্তা, ড্রেনসহ সব ধরনের উন্নয়ন করে যাচ্ছি। প্রত্যেকটি রাস্তা যেন টেকসই হয় এবং উন্নয়ন কর্মকাণ্ড এগিয়ে নিতে সকলের সহযোগিতা চাই। এলাকার সবাই যাতে ভালো থাকে।