ক্যাসিনোর টাকার ভাগ তো অনেকেই পেয়েছেন। শুধু তাকে কেন দায়ী করা হচ্ছে? তাকে কেন গ্রেপ্তার করা হয়েছে? অন্যদের কেন নয়? রিমান্ডে থাকা সম্রাট ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে এমন প্রশ্ন রেখেছেন কর্মকর্তাদের কাছে। সূত্র জানিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদে সম্রাট বেশ কিছূ চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে।
দুই মামলায় ১০ দিনের রিমান্ডে রয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ মাহনগর যুবলীগের বহিস্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন সম্রাট।
এদিকে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক মামলার তদন্তভার গোয়েন্দা পুলিশের কাছ থেকে দেয়া হয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) হাতে। র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক সারওয়ার বিন কাশেম এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বুধবার রাতে আমরা মামলা দু’টি তদন্ত করার আদেশ পেয়েছি।
আগেই খবর বেরিয়ে ছিলো, ক্যাসিনোকাণ্ডে সম্রাটের সঙ্গে নেপথ্যে অনেকেই ছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে তারা ক্যাসিনোর নামে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
ইতিমধ্যে সেই রাঘব বোয়ালদের চিহ্নিত করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের শীর্ষ নেতাদের নামও বেরিয়ে এসেছে। এদের মধ্যে বেশ কয়েকজন রয়েছেন, যারা জি কে শামীমের টেন্ডারবাজির সঙ্গেও জড়িত। ক্যাসিনোর সঙ্গে জড়িত ৪৩ জনের নামের একটি তালিকা দুদকের হাতে এসে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখত। অনুসন্ধানে প্রমাণ পেলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের মামলা হবে।