খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিং নিয়ে উদ্বিগ্ন নয় শিক্ষার্থীরা। নেই টর্চার সেল আতঙ্ক। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাগিংয়ের নামে শারীরিক ও মানুষিক নির্যাতন। তবে ব্যতিক্রম ছাত্র রাজনীতিমুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়টি। গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী তানজিদ রহমান উদয় বলেন, প্রথম ক্যাম্পাসে আসার পর ভয় নিয়ে এসেছিলাম। কিন্তু কোনো প্রকার র্যাগিংয়ের শিকার হয়নি। বড় ভাইদের সঙ্গে বসেছি। তাদের নির্দেশনা মতো চলেছি।
আরো অনেক নবীন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের লেখাপড়ার পরিবেশ নিয়ে তারা সন্তুষ্ট।
তারা র্যাগিং নিয়ে মোটেই উদ্বিগ্ন নয়। গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা ডিসিপ্লিনের প্রভাষক শরিফুল ইসলাম বলেন, মানবিক বোধসম্পন্ন সকল শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর নৈতিক দায়িত্ব র্যাগিং সংস্কৃতিকে নিরুৎসাহিত করা। র্যাগিং প্রতিরোধে সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনের জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করা প্রয়োজন।
ছাত্র বিষয়ক পরিচালক প্রফেসর মো. শরীফ হাসান লিমন বলেন, র্যাগিং কোনো সুস্থ মস্তিষ্কের চর্চা নয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অনেক আগেই এ ব্যাপারে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছে। র্যাগিং না থাকলেও আমরা সতর্ক। আমরা চাই খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় পুরোপুরি র্যাগিং মুক্ত থাকুক।