টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে আপন বড় ভাইকে ফাঁসাতে ও স্ত্রীর নামে বিভিন্ন এনজিও থেকে উত্তোলন করা ঋণের টাকা মওকুফ পাওয়ার উদ্দেশ্যে স্বামী ও সন্তানের হাতে গৃহবধূ সুফিয়া খুন হন বলে পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে নিহত সুফিয়ার স্বামী আলাল উদ্দিন (৫০), তাদের বড় ছেলে শরীফুল (২৮) ও ভাইপো স্বপনকে।
গ্রেপ্তারের পর গত বৃহস্পতিবার আলাল উদ্দিনকে আদালতে হাজির করা হলে সেখানে হত্যার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দেওহাটা ফাঁড়ি ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম। পুলিশ জানায়, স্ত্রীর নামে বিভিন্ন এনজিও থেকে লোন নেয়া ছিল প্রায় আড়াই লক্ষাধিক টাকা। অপরদিকে নিজের আপন বড় ভাইয়ের সঙ্গে জমিজমা নিয়ে ছিল ঝামেলা। প্রতি সপ্তাহেই কিস্তির টাকার দায় টানতে টানতে ক্লান্ত হয়ে পড়েন ঘাতক আলাল উদ্দিন। তাই এনজিও থেকে লোনের টাকা মওকুফ পাওয়া ও স্ত্রীকে খুন করে সেই দায় বড় ভাইয়ের ওপর চাপিয়ে দেয়ার লক্ষ্য নিয়ে বড় ছেলে শরীফুল (২৮) ও সমুন্ধির ছেলে স্বপনের সহায়তায় পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয় সুফিয়াকে। এরপর তার লাশ বিলের পানিতে লুকিয়ে রেখে নিখোঁজ হওয়ার গল্প বানায় আলাল উদ্দিন।
এর আগে গত ১৩ই অক্টোবর নিখোঁজ হওয়ার পর ১৪ই অক্টোবর বাড়ির পাশে বিল থেকে উদ্ধার করা হয় ওই গৃহবধূর লাশ। মামলার বাদী সুফিয়ার ভাই মেছের আলী বলেন, আমার বোনের হত্যাকারী যেই হোক আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই। তবে পুলিশের প্রতি সুষ্ঠুভাবে তদন্ত করে প্রকৃত আসামিই যেন সাজা পায় সেই দাবিও করেন তিনি।
মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সায়েদুর রহমান জানান, খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে নৃশংস এই ঘটনাটির রহস্য উদ্ঘাটন করা গেছে। একজন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত বাকিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।