রংপুরের তারাগঞ্জের জলমহাল লিজ নেয়াকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে প্রকৃত মৎস্যজীবীদের বামনদীঘি মৎসজীবী সমবায় সমিতি সর্বোচ্চ ডাককারী হলেও তাকে লিজ দেয়া হয়নি। মৎস্য কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে কথিত মৎস্যজীবীরা জলমহাল লিজ নিয়ে বাণিজ্যে মেতে উঠেছে। এ ঘটনায় বঞ্চিত বামনদিঘী মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি আমিনুর রহমান রংপুর বিভাগীয় কমিশনারসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন। উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, তারাগঞ্জে হাতখোপা বিল, ডাঙ্গীর বিল, ফলিমারী বিল, বাইস পুকুর, সুকানদীঘি, পুঁটিমারী বিলসহ মোট ১০টি জলমহাল রয়েছে। প্রতি বছরের ন্যায় চলতি বছর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জলমহাল ইজারার (১৪২৬-১৪২৯ বাংলা) জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। এর মধ্যে হাতখোপা বিলের সর্বোচ্চ ডাককারী হিসেবে বামনদীঘি মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি আমিনুর রহমান ৫ লাখ ৬১ হাজার টাকা এবং ঘনিরামপুর বড়গোলা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা ডাক প্রদান করে। ইতিমধ্যে গত ০৭-০৩-২০১৯ইং তারিখে উপজেলা জলমহাল কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক ঘনিরামপুর বড়গোলা মৎস্যজীবী সমিতি লিঃ-এর নামে পুঁটিমারী বিল ও ডাঙ্গীর বিলের সর্বোচ্চ ডাককারী হিসেবে উক্ত সমিতি পায়।
উক্ত তারিখে সমিতির বরাবর বিল দুটির প্রথম কিস্তির টাকা প্রদানের জন্য চিঠি প্রদান করেন। চিঠি প্রাপ্তির পর সমিতির সভাপতি মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে সাব-লিজ দেয় উপেন্দ্র নাথ ও সম্রাটের কাছে। অপর ডাঙ্গীর বিলটি উপজেলা জলমহাল কমিটি বাতিল করেন এবং হাতখোপা বিলটি সর্বোচ্চ দরদাতাকে বাদ দিয়ে কম ইজারা মূল্যে ঘনিরামপুর বড়গোলা সমিতির সভাপতি দেবাশীষের কাছে লিজ দেন মৎস্য কর্মকর্তা। দেবাশীষ প্রকৃত মৎস্যজীবীদের বাদ দিয়ে বাণিজ্যের মাধ্যমে অন্যদেরকে দিয়ে জলমহালে মাছ চাষ করে। এতে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে বঞ্চিত দরিদ্র মৎসজীবীরা। নুরুল, মহসিন, তাইজুল, হামিদুল, মোজাম্মেল, জুয়েল, হায়দার সহ অনেকে জানান, গরিব মানুষের জন্য সরকার বিল বরাদ্দ করলেও স্থানীয় ঘনিরামপুর বড়গোলা সমবায় সমিতি সভাপতি দেবাশীষ প্রভাবশালী মাছ ব্যবসায়ী হওয়া সত্ত্বেও মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে বিলগুলো নিয়ে বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে মৎস্য কর্মকর্তা অতিরিক্ত হাবিবুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।