× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

জমি দখল করাই তাদের কাজ

শেষের পাতা

স্টাফ রিপোর্টার
১৯ অক্টোবর ২০১৯, শনিবার
ফাইল ছবি

কোনো জমি খালি থাকলেই মালিকানার সাইনবোর্ড ঝুলে তাদের। জমির মালিক দাবি করতে আসলেই প্রশাসনের বিভিন্ন ভুয়া আদেশনামা লিখে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেয় জমির উপরে। এমন একটি প্রতারণা চক্রের খোঁজ মিলেছে নারায়ণগঞ্জে। এই চক্রটির কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।
জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার সৈয়দপুর জিএমসি আবাসিক এলাকায় আইভি সড়কের পাশে ইকরামুল আলমের মালিকানাধীন দুই শ’ শতাংশ জমির ওপর প্রতারক চক্রটি ঢাকা বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব)- এর আদেশ নকল করে জমিতে আদেশনামা টানিয়ে দেয়। কিন্তু পরে ঢাকা বিভাগীয় রাজস্ব অফিসে গেলে এই আদেশটির কথা অস্বীকার করেন রাজস্ব অফিস। পরে জমিটির প্রকৃত মালিক নারায়ণগঞ্জ সদর থানায় সাত জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। আসামিরা হচ্ছেন, ১.আলী (গদ্দা আলী) (৪০), ২. হযরত আলী (৪৪), ৩. মিজান  (সার্ভেয়ার), ৪. মুরাদ (২৫), ৫. মো. আলাউদ্দিন (৪০), ৬. তৈয়ব আলী (৪৫), ৭. ফারুক (৪৫) সহ আরো অজ্ঞাত ২০/২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন।
এর মধ্যে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।  মামলাটির এজাহার থেকে জানা যায়, বাদীর জমিটিতে এই প্রতারকের একজন এক নাম্বার আসামি গদ্দা আলী জমিটি দখল করেন। পরে জমিটির প্রকৃত মালিকের কাছে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। এই টাকা দিতে তিনি রাজি না হওয়ায় তাকে প্রাণনাশের হুমকি সহ নানান ভয়ভীতি দেখাতে শুরু করেন। শুধু তাই নয়, তাকে দেশীয় অস্ত্রসহ অনেকবার হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমণও করেন। গ্রেপ্তার হওয়ার পরও চক্রটির অন্য সদস্যরা থেমে নেই। গত কয়েকদিন আগেও তাদের এই জমিটি দখল করতে এসেছিলেন তারা। পরে আরো একটি মামলা করেন সদর থানায়। জমির মালিক ইকরামুল আলম বলেন, তাদের যন্ত্রণায় এলাকাবাসী অস্থির। তারা মানুষের জমি টার্গেট করে দখল নেয়ার পাঁয়তারা করে, চাঁদা দাবি করে। কেউ তাদের কথামতো কাজ না করলে জমির মালিকদের নির্যাতনসহ জমির দখল নিয়ে যায়।

 এই চক্রটি এখানেই থেমে নেই। জানা যায়, নারায়ণগঞ্জের প্রিমিয়ার সিমেন্ট ফ্যাক্টরির একটি জায়গা দখল করারও চেষ্টা করেন। এই নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি  কোর্টে একটি মামলাও দায়ের করেন। জানা যায়, ফ্যাক্টরির জায়গাটির ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে চক্রটি দখল করতে আসে এবং মিথ্যা মামলা দায়ের করে। পরে ফ্যাক্টরির পক্ষ থেকে কোর্টে মামলা করলে প্রতারক চক্রটি তাদের দখল ছেড়ে দেয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন বলেন, এই চক্রটি স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে এ ধরনের কার্মকাণ্ড করেন। তাদের বিরুদ্ধে কথা বলতে গেলে মামলা-হামলা করে হয়রানি করেন। নারায়ণগঞ্জ শহরে তারা ভূমিদস্যু চক্র হিসেবে পরিচিত।

 স্থানীয়রা বলছেন, এই চক্রটি জেলা শহরে সাধারণ মানুষের জমি টার্গেট করে দখল নেয়। তাদের পেছনে স্থানীয় প্রশাসন থেকে শুরু করে প্রভাবশালী একটি গ্রুপ কাজ করছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর