× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

একা ‘দায়’ নিতে চান না ঢাকার কোচ

খেলা

স্পোর্টস রিপোর্টার
১৯ অক্টোবর ২০১৯, শনিবার

জাতীয় ক্রিকেট লীগে (এনসিএল) প্রায় প্রতিটি দলেই লেগ স্পিনার খেলানোর কথা বলা হয়েছিল। বিসিবির পক্ষ থেকে দেয়া মৌখিক এই নির্দেশ পালন করেনি রংপুর ও ঢাকা বিভাগের কোচ। তাই তাদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। গতকাল এনসিএলের দ্বিতীয় রাউন্ডের দ্বিতীয় দিন তারা কোনো কাজ করেননি। দায়িত্ব নিয়েছেন নতুন দুই কোচ। তবে ঢাকা বিভাগের বরখাস্ত হওয়া কোচ জাহাঙ্গীর আলম এককভাবে দায় নিতে রাজি নয়। তার পরিষ্কার কথা লেগ স্পিনার না খেলানোর সিদ্ধান্ত তার একার নয়। শুধু তাই নয় তাকে দায়িত্ব থেকে সরিযে দেয়াতেও বেশ অবাক হয়েছেন তিনি।
দৈনিক মানবজমিনকে জাতীয় দলের সাবেক এই ক্রিকেটার বলেন, ‘আমি শুনে খুব আবাক হয়েছি যে, আজ (গতকাল) থেকে ঢাকা বিভাগের দায়িত্ব পালন করতে পারবো না! যেকোনো দল গঠন একা কারো পক্ষে সম্ভব নয়। আমার দলে দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচে এসেছে নাদিফ চৌধুরী ওতো দলের অধিনায়ক। আর শ্রীলঙ্কা থেকে ফিরে যোগ দিয়েছে সাইফ হাসান। দু’জনকে জায়গা করে দিতে হয়েছে। আমি টিম মিটিংয়ে বলেছিলাম। কিন্তু আমাদের অধিনায়ক, ম্যানেজার ও সিনিয়র ক্রিকেটাররা লেগ স্পিনার জুবায়ের হোসেন লিখনকে খেলাতে রাজি হয়নি। কারণও ছিল, উইকেটে ঘাস থাকাতেই বেশি স্পিনার খেলাতে চায়নি তারা। আমি তো একা সিদ্ধান্ত নেই নি। আমি কেন বরখাস্ত হলাম তা বুঝতে পারছি না।’
অন্যদিকে, রংপুর বিভাগের কোচ মাসুদ পারভেজ রাজন মুখ খুলতে রাজি নন। মুঠো ফোনও ধরছেন না। গতকাল থেকে এই দুই কোচের পরিবর্তে দায়িত্ব নিয়েছেন অন্য দু’জন। ঢাকা বিভাগের হয়ে দায়িত্ব পালন করবেন মোহাম্মদ সেলিম আর রংপুরের হয়ে জাফরুল এহসান। অন্যদিকে বরখাস্ত হওয়া দু’জনকেই তলব করেছে বিসিবি। তাদের ব্যাখ্যা দিতে হবে কেন নির্দেশের পরও লেগ স্পিনার খেলানো হয়নি। এই বিষয়ে জাহাঙ্গির আলম বলেন, ‘নির্দেশটা এসেছিল মৌখিকভাবে। আমরা তো কোনো লিখিত নিয়ম পাইনি। তবে তাও পালন করতে সমস্যা ছিল না। যদি ঢাকার টিম ম্যানেজমেন্ট চাইতো। আর বিসিবি আমাকে তলব করেছে। আমি সেখানেও আমার এই ব্যখ্যাই দেব। আমি কেন একা দায়ী হবো।’
আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ও একমাত্র টেস্টে লজ্জার হার বরণ করছে বাংলাদেশ। বিশেষ করে আফগান দুই লেগ স্পিনারদের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি টাইগার ব্যাটসম্যানরা। তারপর থেকেই লেগ স্পিনার বিষয়ে নড়েচড়ে বসে বিসিবি। ২০ বছর ধরে টেস্ট খেলা বাংলাদেশ এখনো আফগানদের মানের লেগ স্পিনারই পায়নি জাতীয় দলে। দুই একজনের নাম যাও শোনা গিয়েছিল তাদের খেলার সুযোগ ভীষণ কম। জাতীয় দলে তো সুযোগ পায় না, এমনকি ঘরোয়া ক্রিকেটেও তাদের নিয়ে চলে চরম অবহেলা। এবার রংপুর ও ঢাকা বিভাগের তানভির হায়দার, জুবায়ের হোসেন লিখন, ছাড়াও তরুণ রিশাদ হোসেনরা দলে থাকলেও তাদের খেলা হয়নি দুই রাউন্ডেই। এ নিয়ে ভীষণ চটেছেন বিসিবির সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। তিনি বলেন, ‘দেখেন আমরা লেগ স্পিনার নিয়ে এত কথা বলছি, এনসিএলে (জাতীয় লিগ) লেগ স্পিনার রিশাদকে এখনো খেলানো হয়নি। লিখনকেও (জুবায়ের) খেলানো হয়নি। এত কিছু বলার পরও। আমরা আপাতত যেটা করেছি সেটা হলো এনসিএলে কেন খেলায়নি লেগ স্পিনারদের, দুই কোচকে তলব করা হয়েছে। জানতে চাইব বলার পরেও কেন খেলানো হলো না।’ তবে শুধু তলব করেই বসে থাকেনি বিসিবি তড়িৎ শাস্তি হিসেবে দুই কোচকে বরখাস্তও করা হয়েছে।’
অন্যদিকে কোচের দাবি স্বীকার করে নিয়েছেন ঢাকা বিভগের অধিনায়ক নাদিফ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘আমরা আসলে বুঝতেই পারিনি লেগ স্পিনার খেলানোর সিদ্ধান্তের নির্দেশ এত কঠোর ছিল। তাহলে আমরা উইকেট, কম্বিনেশন নিয়ে এত ভাবতামই না। লেগ স্পিনার খেলাতাম। কোচ আমাদের সঙ্গে পরামর্শ করেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তার একা দোষ আমিও দিতে রাজি না। কারণ তিনি আমাদের বলেছেন, আলোচনা করেছেন। আমি বলবো আমাদের বুঝার ভুল ছিল। আর কোচেরও দায়টা আমি একা দিতে চাই না।’
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর