× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

নকল রোধের অভিনব উপায়

এক্সক্লুসিভ

মানবজমিন ডেস্ক
২০ অক্টোবর ২০১৯, রবিবার

নকল ও পরীক্ষায় টোকাটুকি রোধে অভিনব এক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে ভারতের কর্নাটকে এক কলেজে। বুধবার সেখানকার ভগত পিইউ কলেজে ছিল এইচএসসি রসায়ন অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা। এতে যাতে শিক্ষার্থীরা নকল করতে বা অন্যের খাতা দেখে লিখতে না পারে সেজন্য অভিনব ওই ব্যবস্থা নেয় কর্তৃপক্ষ। তারা পরীক্ষা শুরুর আগে সব শিক্ষার্থীর মাথায় পরিয়ে দেয় কার্ডবোর্ডের কার্টন। শিক্ষার্থীর মুখ বরাবর ছোট্ট ছিদ্র রাখা হয়, যাতে সে দেখতে পায়। ফলে পরীক্ষা হলে শিক্ষার্থীদের মাথা দেখা যায় না। দেখা যায় শুধু কার্ডবোর্ডের বাক্স। এমন ছবি ও ভিডিও সামাজিক ওয়েবসাইটে ভাইরাল হয়।
একের পর এক শেয়ার হতে থাকে তা। এ খবর চলে যায় শিক্ষাবোর্ডে। সঙ্গে সঙ্গে সেখানকার কর্মকর্তারা ছুটে যান ওই কলেজে। এর ব্যবস্থাপনা পরিষদকে এমন চর্চা চালানো থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন টাইমস অব ইন্ডিয়া।

ওই কলেজের খুব সামান্য সংখ্যক পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় প্রতারণার আশ্রয় নেয়। তবে সব সময়ই এর বিরুদ্ধে বাড়তি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয় কর্তৃপক্ষ। কিছু কিছু শিক্ষার্থী প্রতারণার আশ্রয় করতে গিয়ে বাহুতে নোট লিখে নিয়ে যায়। বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গে নকল নিয়ে যায়। নকল নেয় জ্যামিতি বক্সের সঙ্গে। আবার কেউ কেউ ইদানীং ইয়ারফোন এবং ইলেক্ট্রিক ভিডাইসের আশ্রয় নিয়ে থাকে। তাদের এসব অসদুপায়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া এখন কর্তৃপক্ষের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে মাথায় বাক্স পরিয়ে পরীক্ষা দেয়ানোর ধারণা খুব কমই মাথায় এসেছে। এতে যারা খুব মেধাবী শিক্ষার্থী তারা অপমানিত বোধ করেছে। এর মধ্য দিয়ে কর্তৃপক্ষ বুঝাতে চেয়েছে কাউকেই বিশ্বাস করা যায় না। এর জবাবে পিইউ বোর্ডের উপ-পরিচালক এসসি পীরজাদে বলেছেন, তিনিই কলেজ ব্যবস্থাপনাকে একটি নোটিশ দিয়েছেন। তিনি এ উপায়ে পরীক্ষা নেয়াকে অমানবিক বলে আখ্যায়িত করেছেন। তবে কলেজ পরিচালকদের একজন এমবি সতীশ বলেছেন, শিক্ষার্থীদের অসদুপায় অবলম্বন কমিয়ে আনতে আমরা এমন ধারণার বাস্তবায়ন করেছি। তাদেরকে হয়রান করার জন্য এটা করা হয় নি। আর এটা করা হয়েছে শুধু পরীক্ষামূলকভাবে। আগেই আমরা এ ইস্যুতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করেছি এবং তাদের মতামত নিয়েছি। তিনি আরো জানান, বোর্ড কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মেনে চলবে কলেজ।

ওদিকে পীরজাদে বলেছেন, যখনই আমি এ বিষয়ে খবর পেয়েছি সঙ্গে সঙ্গে ওই কলেজে গিয়ে হাজির হয়েছি। এই চর্চা বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছি। কলেজ ব্যবস্থাপনা পরিষদকে নোটিশ দিয়েছি। এমন ধারণা বাস্তবায়ন করার কারণে তাদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ভঙ্গের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। তিনি আরো বলেছেন, শিক্ষার্থীদের বলা হয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ এ রকম আর কোনো পদক্ষেপ নিলে তারা যেন সঙ্গে সঙ্গে বোর্ডকে জানান। পীরজাদে বলেন, এটা অমানবিকতা। সভ্য সমাজ কখনো এমন ধারণা মেনে নিতে পারে না। আশা করি এটা আর ঘটবে না।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর