ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের কুমারখালি গ্রামে গতকাল সকালে দুই দল গ্রামবাসীর মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছে। কয়েক ঘণ্টাব্যাপী চলা সংঘর্ষে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ৬০ জন আহত হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে প্রথমে ভাঙ্গা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে গুরুতর আহত ২০ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। খবর পেয়ে ভাঙ্গা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি পুরোপুরি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছেন ভাঙ্গা থানার ওসি কাজী সাইদুর রহমান। স্থানীয়রা জানায়, শুক্রবার বিকালে ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে ছোট ছেলেদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। এলাকাবাসী ঘটনাটি মীমাংসা করে বাড়িতে ফেরার সময় নাসির মাতব্বর নামে একজনকে মারধর করে একটি পক্ষ।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গতকাল সকালে তারা মাতব্বর ও কাউসার মাতব্বরের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী চলে ধাওয়া-পাল্টা, সংঘর্ষে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ৬০ জন আহত হয়। আহতরা হলেন, তারা মাতব্বর, বেলায়েত মাতব্বর, দেলোয়ার মাতব্বর, মোকলেস মাতব্বর, সলেমান মাতব্বর, ছরোয়ার মাতব্বর, মজিবর হাওলাদার, মন্নু মিয়া, উজ্জ্বল শেখ, মহিদুল শেখ, বাচ্চু শেখ, রিফাত মাতব্বর, নাসির মাতব্বর, মনিরুজ্জামান খান, সুলতান খান, বালাম খান, আবুল হাওলাদার, রাজ্জাক খান, বারেক হাওলাদার, আব্বাস মাতব্বর, সৈয়াদ আলী হাওলাদার, শাহাদাৎ খান, রমজান মাতব্বর, নুরুল হক খালাশি, কাশেম খালাশি, নুর আমিন শেখ, মিনি বেগম, বিউটি বেগম, হাফেজ মাতব্বর, শাওন মাতব্বর, শাকির হাওলাদার, আ. হাই মাতব্বর, ইলিয়াছ মাতব্বর, মতিয়ার হাওলাদার, মোশারফ হাওলাদার, আসাদ মাতব্বর ও ইকবাল মাতব্বর। ওসি বলেন, ‘তুুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই দল গ্রামবাসী নিজেদের আধিপত্য ধরে রাখার জন্যই সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। ঘটনার তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’