কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার নারান্দী গ্রামের মতি মিয়ার কাছ থেকে জমি ইজারা বাবদ লক্ষাধিক টাকা নিয়ে আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে একই গ্রামের হারুন অর রশীদের বিরুদ্ধে। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার সালিশ দরবার করেও কোনো ফয়সালা পাননি তিনি। পরে তার বিরুদ্ধে গত মাসে মতি মিয়া বাদী হয়ে কিশোরগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলগ্রহণকারী আদালত-৩ মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ২০শে অক্টোবরের মধ্যে বিষয়টি তদন্ত করে রিপোর্ট প্রদানের জন্য পাকুন্দিয়া উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তার কাছে পাঠায়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার নারান্দী গ্রামের মো. তৈয়ব আলীর ছেলে ভুক্তভোগী মো. মতি মিয়া। তিনি ২০১৩ সালের ১২ই জানুয়ারি পাশের বাড়ির হারুন অর রশীদের কাছ থেকে ৮৬ শতাংশ জমি ইজারা নেন। এর বিনিময়ে কয়েকজন সাক্ষীর স্বাক্ষর সম্বলিত একটি চুক্তিপত্রের মাধ্যমে এক লাখ ২০ হাজার টাকা দেন হারুন অর রশীদকে। এ ছাড়াও চুক্তিপত্রে শর্ত দেয়া হয়েছিল হারুন অর রশীদ মূল টাকা যেদিন ফেরত দিবেন মতি মিয়া জমিও সেদিন তাকে ফেরত দিয়ে দিবেন। এই শর্তে মতি মিয়া জমি দখলে নিয়ে চাষাবাদ করতে থাকেন।
দীর্ঘ সাত বছর পর চলতি বছরের পাঁচ এপ্রিল হারুন অর রশীদ গোপনে একই গ্রামের বাবুল মিয়া নামের অন্য এক ব্যক্তির কাছে জমি ইজারা দিয়ে দেন। বিষয়টি জানতে পেরে মতি মিয়া তার কাছে গিয়ে টাকা ফেরত চাইলে দেই দিচ্ছি বলে ছয় মাস পার করে দেন। কিন্তু মতি মিয়া টাকা এখনো উদ্ধার করতে পারেননি। ভুক্তভোগী মতি মিয়া বলেন, হারুন অর রশীদ জমি ইজারার চুক্তিপত্র ভঙ্গ করে গোপনে জমিটি একই গ্রামের বাবুল মিয়ার কাছে ইজারা দিয়ে দেন। বিষয়টি জানার পর তার কাছে টাকা ফেরত চাইলে দেই দিচ্ছি বলে ছয় মাস ধরে ঘুরাচ্ছেন।
পরে একপর্যায়ে টাকা দিতে অস্বীকার করেন। অভিযুক্ত হারুন অর রশীদ জমি ইজারা দেয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, আমি মতি মিয়াকে পুরো টাকাই ফেরত দিয়ে দিয়েছি। কিন্তু জমি ইজারার চুক্তিপত্রটি মতি মিয়ার কাছেই রয়ে গেছে। তাই ওই কাগজমূলে সে আবারো আমার কাছে টাকা চাচ্ছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. আবদুল আজিজ আকন্দের কাছে জানতে চাইলে তিনি মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, মামলার তদন্তের কাজ চলছে। শিগগিরই প্রতিবেদন পাঠানো হবে।